বাগেরহাটে সদরের পাতিলাখালী গ্রামের প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রী লামিয়া আক্তার ফারিয়াকে (৭) ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে মিনহাজুল ইসলাম শোয়েব নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বাগেরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল- ১ এর বিচারক জেলা জজ মো. সাইফুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার বিকালে চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা কালে একমাত্র আসামি ঘাতক মিনহাজুল ইসলাম শোয়েব আদালতে উপস্থিত ছিলেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মিনহাজুল ইসলাম শোয়েব পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর জেলার নামাজপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ইমনের ছেলে।
বাগেরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল- ১ এর আদালতের সরকারি কৌশলী (পিপি) এ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান খান জানান, বিগত ২০১৯ সালের ৫ মে বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের পাতিলাখালী ওমর আলী শেখের মেয়ে ও স্থানীয় কোন্ডলা বড়ু বিবি দাখিল মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী লামিয়া আক্তার ফারিয়াকে (৭) ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে স্থানীয় দিঘিরজান খালের চরে লাশ পুঁতে রাখে মিনহাজুল ইসলাম শোয়েব। ওইদিন রাত ৮টার দিকে স্থানীয়রা শিশু লামিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ হত্যায় জড়িত সন্দেহে স্থানীরা নানা বাড়িতে থাকা বখাটে যুবক মিনহাজুল ইসলাম শোয়েবকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আটক যুবক মিনহাজুল ইসলাম শোয়েব পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শিশু লামিয়া আক্তার ফারিয়াকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যার পর খালের চরে লাশ পুতে রাখার কথা স্বীকার করে।
এঘটনায় ওইদিন রাতে শিশুটির পিতা ওমর আলী শেখ বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় মিনহাজুল ইসলাম শোয়েবকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ডাক্তারদের দেয়া ময়না তদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি উল্লেখ থাকার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগেরহাট মডেল থানায় এসআই হীরন্ময় ওই বছরের ১৩ জুলাই ঘাতক মিনহাজুল ইসলাম শোয়েব ও তার সহযোগী কোন্ডলা গ্রামের মো. সাহেব শেখর ছেলে মিঠু শেখকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্চশিট দাখিল করে। আদালত ১৬ জনের স্বক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে বিচারক এই রায় প্রদান করেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন