খুলনা নগরীর দৌলতপুরের বীনাপানি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী অঙ্কিতা দে ছোঁয়াকে ধর্ষণের পর অমানবিকভাবে হত্যা করা হয়েছে। লাশ গুম করার জন্য কয়েকবার চেষ্টা করা হলে সম্ভব হয়নি।
কম্বল দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ভবনের ছাদে নিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করেছে বণিকপাড়ার প্রভাত রুদ্রের ছেলে প্রীতম রুদ্র (২৭)। শনিবার দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আহমেদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় প্রীতম।
পুলিশ জানায়, গত ২২ জানুয়ারি কম্বলের প্রলোভন দেখিয়ে অঙ্কিতাকে বণিকপাড়ার ‘বীনাপানি’ ভবনের ছাদে নেয় প্রীতম। এ সময় ধর্ষণের চেষ্টা চালালে চিৎকারের একপর্যায়ে তার মাথায় ভারি বস্তু দিয়ে আঘাত করে। এতে অঙ্কিতা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর ধর্ষণ শেষে নাইলনের দড়ি ও পরনের জুতার ফিতা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট সারোয়ার আহমেদের আদালতে দুপুরে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় বীনাপানি ভবনের মালিক প্রীতম। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
দৌলতপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে প্রীতম জানিয়েছে- হত্যার পর বস্তায় ভরে শিশুর লাশ প্রথমে গ্যারেজে সিমেন্টের বস্তার পাশে ও পরবর্তীতে গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে বিউটি পার্লারের বাথরুমে লুকিয়ে রাখা হয়। ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত নয় বলে সে স্বীকার করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে খেলার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় স্কুলছাত্রী। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। ২৮ জানুয়ারি শিশুটির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের পর প্রীতমসহ আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করে। শুক্রবার রাতে প্রীতমকে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। আটক অপর সাতজনকে ছেড়ে দেয়া হবে বলে ওসি জানান।
এদিকে অঙ্কিতা দে ছোঁয়া হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার বিকালে নগরীর দৌলতপুরে প্রতিবাদী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন