চম্পার বাড়ি ফেরাটাই কাল হলো

চম্পার বাড়ি ফেরাটাই কাল হলো
কক্সবাজারের চকরিয়ায় চলন্ত সিএনজি চালিত অটোরিক্সা থেকে তরুণীর জবাই করা মরদেহ ফেলে দিয়ে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার ( ৬ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চকরিয়া-পেকুয়া-বাঁশখালী আঞ্চলিক সড়কের চকরিয়ার কোনাখালী ইউনিয়নের মরং ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মরদেহটির মুখ ওড়নায় পেঁচানো অবস্থায় ছিল। তাই ধারণা করা হচ্ছে তাকে গাড়িতেই জবাইয়ের পর রাস্তায় ফেলে দেয় হত্যাকারিরা। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চকরিয়া থানার ওসি মোঃ. হাবিবুর রহমান।হত্যার শিকার তরুণী চম্পা খাতুন (১৭) কক্সবাজার সদরের খরুলিয়ার নয়াপাড়ার নছিমন চালক রুহুল আমিনের বড় মেয়ে ও রামুর তেচ্ছিপুল এলাকার শাহ আলম নামে তরুণের স্ত্রী। লকডাউন শুরুর আগে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে ফুফুর বাসায় বেড়াতে গিয়ে মা-বাবার জন্য মন কাঁদায় শত নিষেধের পরও বুধবার লকডাউনের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে সে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে চকরিয়া এসে হত্যার শিকার হন। চকরিয়া থানার ওসি মোঃ. হাবিবুর রহমান জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে কোনাখালী ইউনিয়নের মরং ঘোনা এলাকায় রাস্তার উপর একটি মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ রাত সোয়া ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা থেকে তার জবাই করা মরদেহটি ফেলে দেয়া হয়। গাড়ি এবং হত্যাকারীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। প্রথমে তার পরিচয় না পেলেও কক্সবাজার থেকে তরুণীর মা-বাবা ও স্বজনরা থানায় এসে পরিচয় সনাক্ত করেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password