মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে গতকাল রোববার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটগ্রহণের পরই শুরু হয়েছে গণনা। ২০১১ সালে দেশটিতে সেনা শাসনের অবসান হওয়ার পর এটাই মিয়ানমারের দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচনে লাখ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন।
অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) এই নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসছে বলে বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছে। রোহিঙ্গা সংকটের কারণে বহির্বিশ্বে সু চির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হলেও নিজ দেশে তিনি সমান জনপ্রিয়। ফলে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে নীতিগত পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য মিয়ানমারে ৩ কোটি ৭০ লাখের বেশি নিবন্ধিত ভোটার রয়েছে। দেশটিতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লেও মানুষ ভোট দিতে বের হয়েছিলেন।
মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালাই। এটি করোনার হটস্পট বলে চিহ্নিত। রোববার সেখানে ভোটকেন্দ্রের বাইরে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়। করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে তাদের মুখে মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মানা হয়নি।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আহ্বান জানালেও সেখানকার ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সেখানকার প্রায় ৩ লাখের বেশি মুসলিম রোহিঙ্গা ভোট দেয়ার সুযোগ পাননি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন