মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে আবার কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার নিশ্চিতপুর এলাকায় হাজি ম্যানশনের মোটরবাইক পার্টসের দোকান ও বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত দেড়টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯টি দোকান ও ৯টি বসতঘর পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ছয়টি দোকানের মধ্যে আবদুল কাদেরের ভাই ভাই মোটর্স নামে ছয়টি দোকান, শফিকুর রহমানের সুফিয়ান মটর্সের ১টি ও রাজিবের রাজিব হোন্ডা অ্যান্ড সার্ভিসিং সেন্টারের ২টি দোকান পুড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, আগুনে অন্তত ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।সোহেল নামে একজন জানান, তিনি কুমিল্লা নগরীতে তরকারি ফেরি করেন। রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ আগুন লাগে। কোন রকম ঘর থেকে বের হয়েছেন। চোখের সামনে ঘরটি পুড়তে দেখেছেন। ২ ঘণ্টা ধরে পুড়তেই ছিল তার ঘর ও পাশের ৮টি ঘর।
কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন জানান, রাত দেড়টায় খবর পেয়ে কুমিল্লা, চান্দিনা ও ইপিজেড স্টেশনের ৬ ইউনিটের চেষ্টায় প্রায় দুই ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।ক্ষতিগ্রস্ত ভাই ভাই মোটর্সের মালিক আবদুল কাদের কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, রাত তিনটায় খবর দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়েছি। আগুনে পুড়ে সব শেষ গেছে। এর আগের মাসের ১৪ তারিখ পাশের মার্কেটে আগুন লেগে আমার আরেকটা দোকান পুড়ে গেছে।
কুমিল্লা মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল হক বলেন, আমি রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কীভাবে আগুন লেগেছে তাৎক্ষণিকভাবে বলতে পারছি না। তবে তদন্ত করছি।গত ১৪ মার্চ রাতে পাশের হাজি ম্যানশন মার্কেটে আগুন লেগে পুড়ে যায় প্রায় ৬৫টি মোটরসাইকেল ও মোটরের পার্টস দোকান।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন