যশোরের শার্শায় পূজা মন্ডপের নিরাপত্তায় নিয়মিত টহল করছে বাংলাদেশ আনসারের শার্শা উপজেলার অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারাদেশের ন্যায়, যশোর শার্শায় হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা মন্দিরগুলোয়, প্রতিমা ঠাকুর উত্তোলন ও প্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে শারদীয় দূর্গাপুজার উদযাপন উপলক্ষে মহা আনন্দ উৎসব চলছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, তারই ধারাবাহিকতায় যশোরের শার্শা উপজেলায় বেশ কয়েকটি পূজা মন্দিরগুলোতে। আইন শৃঙ্খলার রক্ষার্থে প্রশাসনের অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি, সার্বিক নিরাপত্তা পালনে রয়েছে বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর, শার্শা উপজেলায় কর্মরত আনসার সদস্যরা। শার্শা উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, শার্শা থানা অফিসার ইনচার্জ বদরুল আলম খান, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান এবং শার্শা উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহ আল রাসেল।
তারই তত্বাবধানে আনসারের ৪টি টিম টহল সদস্যরা শার্শার পূজামন্ডপ গুলোতে নিয়মিত টহলের মাধ্যমে নিরাপত্তা সেবা দিচ্ছে। এ বিষয়ে আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত)আব্দুল্লাহ আল রাসেল বলেন, শারদীয় দুর্গা পূজায় নিরাপত্তা বিধানের জন্য সশস্ত্র অঙ্গীভূত আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায়, আমাদের জেলা কমান্ড্যান্ট স্যার সনজয় কুমার সাহা, যশোরের নির্দেশনায়, এবার শার্শা উপজেলায় মোট ২৯টি পূজা মন্দিরের প্রতিটি পুজা মন্ডপে আমাদের আনসারের ৪ টি টহল টিম নিয়মিত নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে।
সরেজমিনে ও দেখা গেছে আনসার সদস্যরা তারা প্রতিটি মন্দিরে নিষ্ঠার সাথে নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করছেন। সরকারি ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের নির্দেশনা আছে শারদীয় দুর্গোৎসবে এবারও মাস্ক পড়ে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজামণ্ডপে প্রবেশ করতে হবে। যারা টিকা নেননি কিংবা পঞ্চাশোর্ধ্বদের অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সত্তরোর্ধ্বদের পূজামণ্ডপে না আসতে নিরুৎসাহিত করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
করোনা সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করতে হবে। পূজামণ্ডপে পৃথক প্রবেশ ও বাহির গেট মজবুতভাবে স্থাপন। যেসব মণ্ডপে সীমানা দেয়াল নেই সেসব ক্ষেত্রে বাঁশের শক্ত বেড়া নির্মাণ এবং নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক প্রবেশ গেটের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও পূজা উপলক্ষে মাদকের ব্যবহার, জুয়া খেলা ও আতশবাজির ব্যবহার বন্ধ রাখা ৷
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন