যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতনে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতনে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

চাঁদপুরে যৌতুকের টাকার জন্য শারীরিক নির্যাতনে সাথী আক্তার (২৬) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বহরিয়া গ্রামের খান বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সাথী আক্তার বহরিয়া খান বাড়ির শামীম খানের স্ত্রী ও চান্দ্রা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বাখরপুর গ্রামের মিজান পাটোয়ারীর মেয়ে। সুমনা আক্তার নামের তার দেড় বছর বয়সী একটি সন্তানও রয়েছে।

ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছে নিহতের পরিবার। এ বিষয়ে নিহতের মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে তার জামাই শামীম খানকে প্রধান আসামি করে ও তার দুই বোন রিংকু এবং সুমীসহ পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাত নামা দিয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

নিহত সাথী আক্তারের চাচা মো. মজিবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, ‘শামীম গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আমাকে ফোন দিয়ে জানায় সাথী স্ট্রোক করেছে। তাৎক্ষণিক আমরা সবাই ওখানে চলে যাই। গিয়ে দেখি তার গায়ে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার নাকেও রক্ত লেগেছিল। এ সময় তার স্বামী শামীম খানকে জরুরি ভিত্তিতে তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য বললে সে বিভিন্ন রকমের হুমকি-ধমকিমূলক কথা বলে। পরে একপর্যায়ে হাসপাতাল নিতে বাধ্য হয় এবং হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানতে পারি বিকেলেই তার মৃত্যু হয়েছে।’

নিহতের বাবা মিজান পাটোয়ারী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি ঢাকায় চাকরি করি। খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঢাকা থেকে আজকে সকালে চাঁদপুরে আসি। আমার মেয়েকে যৌতুকের টাকার জন্য হত্যা করা হয়েছে। আমি মেয়ের সুখের জন্য গত তিন বছরে জামাইকে আড়াই লাখ টাকা দিয়েছি। তাতেও তার হয়নি আরও টাকার জন্য সে আমাকে জোর করছিল। এই বিষয়ে দুই তিনবার পারিবারিকভাবে শালিক বৈশালী বৈঠকও হয়েছে। গত ৮/১০ দিন আগেও সে আমার কাছে ১০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেছিল। অবশেষে আমার মেয়েকে হত্যা করল।’

চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদর চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটোয়ারী বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ভুক্তভোগী পরিবারের সাহায্যের জন্য থানায় এসেছি। তবে আমি আগেও জানতাম তাদের জামাই বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের টাকার জন্য তাদেরকে হয়রানি করতো এবং সাথীকে শারীরিক নির্যাতন করতো।’

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password