যশোরের নওয়াপাড়ায় পৌর যুব মহিলা লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। অভয়নগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর যুব মহিলা লীগের সভাপতি মিনারা পারভীনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাদের হয়রানি, সংখ্যালঘুদের নির্যাতন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোমবার বিকেলে নওয়াপাড়া পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নওয়াপাড়া পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী হায়দারের সভাপতিত্বে চেঙ্গুটিয়া বাজারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আকরাম আলী গাজী, প্রেমবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম মিলন, শ্রমিক লীগ নেতা মনোয়ার হোসেন, পৌর কাউন্সিলর আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক শফি কামাল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা উজ্জ্বল কুন্ডু, বিশ্বজিৎ সরকার, চেঙ্গুটিয়া বাজার কমিটির সভাপতি আবু জাফর ও মহাকাল পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিভাবক সদস্য অরবিন্দু ঘোষ প্রমুখ।
বক্তারা পৌর যুব মহিলা লীগের সভাপতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিনারা পারভীনের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন, চেঙ্গুটিয়ার প্রশান্ত শীলের পুকুর জোরপূর্বক ভরাট করে নিজ বাড়ির রাস্তা নির্মাণ, জোরপূর্বক অটল শীল, দিনু শীলের গাছ কর্তন এবং নিতাই সাহার বাড়ির ওপর দিয়ে নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়াসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরে দল থেকে বহিষ্কার করে শাস্তির দাবি জানান।
এছাড়া নওয়াপাড়া পৌর যুব মহিলা লীগের সভাপতি অভয়নগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিনারা পারভীনের বিরুদ্ধে গত ১৫ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় চেঙ্গুটিয়া বাজারে মহাকাল কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ও তার ভাড়াটিয়া গুন্ডাদের নিয়ে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করে। এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খান এ মজলিস ওই জায়গা বিদ্যালয়ের মর্মে এক সপ্তাহের মধ্যে ঘর সরিয়ে নিতে চিঠি পাঠান। কিন্তু নোটিশের মেয়াদ শেষের চারদিন আগে মিনারা পারভীন সন্ত্রাসী রাজু সরদার, মুজাহিদ হোসেন ও ইকরাম হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ভাড়াটিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে।
জানা গেছে, অভয়নগর উপজেলার মহাকাল মৌজায় ১৯৭২ সালে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ইসারত মোল্যা ১৮ খতিয়ানে মহাকাল মৌজার ৩০ শতক জমির মধ্যে থেকে দশমিক ৫০ শতক জমি মহাকাল গ্রামের আজিজুর রহমানের কাছ থেকে ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছেন। ওই জমি মহাকাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দাবি করে মিনারা পারভীন দখল নিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করে।
তার সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ডে সন্তানদের ব্যবহার করায় অভিভাবকরা গত ২০ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অধ্যক্ষের কাছে উদ্বেগের কথা জানান এবং ওই বিদ্যালয়ের সভাপতির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে সন্তানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান এবং মিনারা পারভীনকে সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করে মহাকাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে দেয়ার দাবিও জানানো হয়।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন