রানীর পর এবার রাজার আবির্ভাব

রানীর পর এবার রাজার আবির্ভাব
MostPlay

খর্বাকৃতির গরু টুনটুনি আর রানীর পরেই খুঁজ মিললো রাজার। সম্প্রতি গাজীপুরের শ্রীপুরে ভাইরাল হওয়া খর্বাকৃতির গরু টুনটুনি খবরের শিরোনাম হওয়ার কয়েক দিন পরেই খোজ মিললো আরেক খর্বাকৃতি ষাঁড় গরু রাজার।

শ্রীপুর উপজেলার পৌর লোহাগাছ পশ্চিম পাড়া (বটতলা) গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে আঃ বাতেনের বাড়িতে এর দেখা মিলে। যদিও এর আগে সাভারে দেখা মিলেছিলো রানী নামে এক খর্বাকৃতির গরুর। খর্বাকৃতির ষাঁড় গরুটির  নাম  গিনেস বুক অফ ওর্য়াল্ডে  লেখা হোক বা না হোক, তবে রাজা হিসেবে ঠিকই রাজার আসনে নিজের আধিপত্য বিস্তার করে যাচ্ছেন বলে দাবি  এলাকাবাসীর । কৃষক পরিবারটি যেনো আবার নতুন করে রাজাকে পেয়ে হারানো  রাজত্ব ফিরে পেয়েছে।রাজাকে নিয়ে এলাকাবাসীর এতই কৌতুহল!  আর আগ্রহ যে, দেখে মনে হয় কোন প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে তারা। কে হবে সেরা। রানী, টুনটুনি নাকি রাজা।  অনেকেই দাবি করছে রাজাই সবচেয়ে শক্তিধর খর্বাকৃতি গরুর মধ্যে অন্যতম একটি  তেজিয়ান  ষাঁড় গরু। তাই রাজাই খর্বাকৃতি ষাঁড় গরুর মধ্যে সবচাইতে  সেরা। কারন এমন গরু এর আগে কেউ দেখেনি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সারাদিন মায়ের  সাথেই সে অবাদ বিচরন করছে ফসলের মাঠে কিংবা বাড়ীর আঙ্গিনায়। মাঝে মাঝে মায়ের কাছ থেকে লড়াইয়ের কৌশলও শিখে নিচ্ছে এই খর্বাকৃতির ষাঁড় গরু টি । মাএ ১১মাস বয়স হলেও তার দুরন্তপনা আর সাহসী আক্রমণে রিতিমত হতভম্ব কৃষক পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি ছড়াছড়ি হলে দুর দুরান্ত থেকে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা । কেউ কাছে একটু আদর করতে গেলেই মাথা দিয়ে গুঁতো দেয়ার চেষ্টায় তেড়ে আসে কাছে। খর্বাকৃতি এই ষাড় গরুটির এসব কান্ড দেখে সবাই তাকে রাজা বলেই ডাকতে শুরু করে। সেই থেকেই তাকে সবাই রাজা বলেই জানে।

আঃ বাতেন মিয়ার ছেলে রুবেল বলেন, খর্বাকৃতি ২৬”  ষাঁড়  গরুটির বয়স মাএ ১১মাস। কিন্তু তার মায়ের জাত দেশী স্বাভাবিক গরুর জাত। তাছাড়া গাভীটিকে কোন ধরনের বিদেশি বীজ বা ইনজেকশন দেয়া হয়নি। স্বাভাবিক অবস্থায় গায়ের ঘর থেকে হয়েছে এই রাজা। জন্মের সময় অনেক ছোট হওয়ায় বুঝতে পারিনি এটা ষাড় না বহুন। পরে যখন আস্তে আস্তে এটা বড় হতে লাগলো তখন বুঝতে পারলাম এটা বামন প্রজাতির গরু হয়েছে। জন্মের পর থেকে এখনো সে সুস্থ অবস্থায় আছে এবং খাবার-দাবার স্বাভাবিক। খর্বাকৃতির এই ষাঁড় গরুটি গড়তে পারে নতুন রেকর্ড। দাবি পরিবারের। 

খর্বাকৃতি  ষাঁড় গরু রাজার মালিক আঃ বাতেন বলেন, এখন থেকে রাজাও আমাদের পরিবারের একজন সদস্য।। সারাদিন তাকে একবার নিজের হাতে না খাওয়াতে পারলে আমি নিজেও খেতে পারিনা। তার এই দূরন্তপনা আর লড়াই মনোভাব দেখে আমরা সবাই খুব আনন্দীত হই। যতদিন সে বেচে থাকবে আমি তাকে লালন পালন করে যবো। বিক্রি করার কোন ইচ্ছে নেই। 

এলাকাবাসী ও পরিবারটির দাবী,  গিনেস বুক অফ ওয়ার্ড রেকর্ডে  রাজার নামটি সবচাইতে ছোট খর্বাকৃতির  ষাঁড় গরু হিসেবে লেখায় হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password