বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়। মুহূর্তেই পশুহাটে হয়ে ওঠে জনাকীর্ণ। মানুষের ভিড়ে ও উত্তপ্ত আবহাওয়ায় হাটের মধ্যে বেশিক্ষণ টিকে থাকা দায়। এরপরেও পশু কেনাবেচা করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাটের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে হাজার হাজার মানুষকে। এত লোকের ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব অকল্পনীয়। অধিকাংশ মানুষের মুখে ছিল না মাস্ক। শনিবার এমন ঝূঁকিপূর্ণ পরিবেশে পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের শরৎনগর পশুহাটে দিন কাটে কয়েক হাজার ক্রেতা-বিক্রেতার। এ সময় ক্রেতা-বিক্রেতারা বলেন, 'সংসার বাঁচাতে চাইলে গরু কেনাবেচা আগে, করোনার চিন্তা পরে।'
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের কেজি স্কুলের সামনেও পিছনের মাঠে কয়েক হাজার গরু বিক্রির জন্য হাতে উঠেছে। প্রচন্ড রোদের তাপ সহ্য করেও মশগুল রয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। গরমে অধিকাংশ মানুষ মুখের মাস্ক খুলে ফেলেছেন। শরীরের ঘাম মুছতে বারবার নাকি মুখে হাত দিচ্ছেন। দুপুর আসতেই অনেকে হাটের পাশের খোলা খাবারের দোকানে বসে খাবার খাচ্ছেন। কারোর মধ্যে করোনা সংক্রমণের ন্যূনতম ভয় নেই। এ সময় হাট কর্তৃপক্ষ বারবার সবাইকে মাস্ক পরিধান সহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ করছেন। তবে কেউই সে নির্দেশনার তোয়াক্কা করছেন না।
হাটে আগত গরু বিক্রেতা আওয়াল হোসেন বলেন, শুনছি আবারো লকডাউন দিবে কড়াকড়িভাবে। তখন হাট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই এই হাটে কয়েকটি গরু যেকোন ভাবেই বিক্রি করতে হবে। তাই গরু বিক্রি করতে খুব সকালে হাটে এসেছি। এসময় স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, 'আগে গরু বিক্রি করতে হবে। তবেই সংসারের ভরণপোষণ চলবে। তাই বেঁচে থাকতে চাইলে গরু বিক্রি আগে করোনার ভয় পরে।'
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন