দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা মানুষ-মহিষে লড়াইয়ের পর অবশেষে বধ হলো সেই ‘ক্ষ্যাপাটে’ মহিষ। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ট্রাঙ্কুলাইজ গান (চেতনানাশক ওষুধ) ব্যবহার করে মহিষটিকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন বিডিটাইপকে বলেন, সোমবার দুপুরে মহিষটিকে নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। বনবিভাগ ট্রাঙ্কুলাইজ গান ব্যবহার করে মহিষটিকে অচেতন করেছে। পরে মহিষটিকে জবাই করে মাটিচাপা দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষ্যাপাটে’ ওই মহিষের হামলায় নিহত ইসমাইলের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়া আহতদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
এর আগে রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার দিকে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভার বহদ্দারপাড়া এলাকার এক ব্যক্তির মালিকানাধীন মহিষটি হঠাৎ সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ করতে থাকে। এতে পথচারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
পরে গোমদণ্ডী ফুলতলা এলাকায় ‘ক্ষ্যাপাটে’ ওই মহিষের আক্রমণে মো. ইসমাইল (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। এ সময় পশুটির আক্রমণে আরও অন্তত ১০ জন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে গতকাল বিকেল থেকে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ মহিষটিকে বাগে আনতে তৎপরতা শুরু করলেও তা সম্ভব হচ্ছিল না। এ কারণে বোয়ালখালীর ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন