ফরম্যাট যদি হয় টি-টোয়েন্টি, আর প্রতিপক্ষ যদি হয় জিম্বাবুয়ে, তাহলে জয়ের পাল্লা ভারি আফগানিস্তানের! আগের ৯ সাক্ষাতের ৮টিতে জিতে নেমেছিল দশম লড়াইয়ে। সেখানেও জয়ের হাসি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির। আজ (বুধবার) সংযুক্ত আরব আমিরাতের মরুর বুকে ঝড় তুলেছিল আফগানরা। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর চেপে ধরা বোলিংয়ে আফ্রিকার দেশটিতে তারা হারিয়েছে ৪৮ রানে।
পরিসংখ্যানে চোখ বুলালে পরিষ্কার ফেভারিট ছিল আফগানিস্তান। আবুধাবির প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে নেমে সহজ জয় নিশ্চিত করেছে তারা। ব্যাট হাতে আক্ষরিক অর্থেই ঝড় তুলেছিল আফগানরা। বিশেষ করে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও অধিনায়ক আসগর আফগান। তাদের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে জমা হয় ১৯৮ রান। কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে রশিদ খানের ঘূর্ণির সামনে ৭ উইকেটে ১৫০ রানে থামে জিম্বাবুয়ে। ফলে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ১-০তে এগিয়ে গেছে আফগানিস্তান।
টস হেরে ফিল্ডিং নেওয়া জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক শন উইলিয়ামস জানিয়েছিলেন, আবুধাবির পিচে ১৭০ রান হলেই জমে যাবে লড়াই। সেখানে রহমানউল্লাহর ঝড়ে ২০০ ছুঁইছুঁই স্কোর গড়ে ফেলে আফগানরা। এই ওপেনার মরুর বুকে ঝড় তুলে ৪৫ বলে খেলেছেন ৮৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। জিম্বাবুইয়েন বোলারদের শাসন করা ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৬ বাউন্ডারি ও ৭ ছক্কায়। ম্যাচসেরারার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে।
এই ওপেনারের সঙ্গে সমানতালে ব্যাট চালিয়েছেন আসগর। আফগান অধিনায়ক ৩৮ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় খেলেন ৫৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। আরেক ওপেনার করিম জানানের ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ২৬ রান। পরের দিকে মোহাম্মদ নবি (১১ বলে ৭) ও রশিদ খানের (৩ বলে ৭) ব্যাটে বড় স্কোর দাঁড় করায় তারা।
জিম্বাবুয়ের দুই বোলার রিচার্ড গারাভা ও ব্লেসিং মুজারাবানি নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। আর ১ উইকেট শিকার রায়ান বার্লের।
১৯৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে। উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৩৮ রান। তারিসাই মুসাকান্দার (১৮) বিদায়ে হারায় প্রথম উইকেট। পরে শন উইলিয়ামসের ব্যাটে আশা জাগলেও ২০ বলে ২২ করেন ফেরেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রেখেছিলেন ওপেনার তিনাশে কামুনহুকামে। কিন্তু ৩৭ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৪৪ রানে তিনি বিদায় নেওয়ার পর ভেঙে পড়ে ব্যাটিং লাইনআপ। সিকান্দার রাজা ১৪ বলে করেন ২২ রান।
আবারও আলো ছড়িয়েছেন রশিদ খান। এই স্পিনার ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। আর ২টি করে উইকেট শিকার করিম জানাত ও ফরিদ আহমদের।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন