ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া এক কিশোরীকে গর্ভপাতের অভিযোগে ধর্ষণে অভিযুক্তসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।নবীনগর উপজেলার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের চরলাপাং গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নবীনগর উপজেলার চরলাপাং গ্রামের ১২ বছরের এক কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে প্রতিবেশী বাবুল মিয়ার ছেলে মো: রনি মিয়া (১৯)। এতে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে রনি ও তার পরিবারের লোকজন জোরপূর্বক নবীনগর সদরে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে এনে ওই কিশোরীকে গর্ভপাত করিয়ে পৃথিবীর আলো দেখার আগেই পেটের ভ্রুণটিকে হত্যা করে। গর্ভপাত করানোর পর ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
বিষয়টি জানতে পেরে ওই কিশোরীর বাবা আক্তার হোসেন নবীনগর থানায় রনিকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে এজাহার দেয়ার পর ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রনিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার জবানবন্দি অনুযায়ী অবৈধ গর্ভপাত করানো উপজেলা সদরের মুক্তি প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক হাবীবুর রহমান ও একজন নার্সকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আমিনুর রশিদ জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামিসহ মোট তিনজনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন