চলন্ত ট্রাকের নিচে চাপা পড়েও অবিশ্বাস্যভাবে বেঁচে গেছেন সড়কের পাশে দাড়িয়ে থাকা এক কিশোর। শনিবার (৬ মার্চ) রাত ১১ টার দিকে কক্সবাজার শহরের কলাতলী ডলফিন মোড়ের হোটেল ওয়ার্ল্ড বীচ রির্সোটের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।
সিসিটিভিতে ট্রাক চাপা দেওয়ার দৃশ্যটি ধরা পড়ে। ট্রাকের নিচে অক্ষত অবস্থায় চাপা পড়ে থাকা কিশোরের ছবি প্রত্যক্ষদর্শীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি প্রকাশ করে। পরে তা ভাইরাল হয়ে যায়।
ছবি এবং ভিডিওতে দেখা যায়, কোনো ধরনের বড় রকম ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই ট্রাকের নিচে চাপা পড়লেও অলৌকিকভাবে সে বেঁচে গেছেন ওই কিশোর। সে মহেশখালী উপজেলার আবুল হোসেনের ছেলে রাশেদুল হক (১৭)।
ভিড়িওতে দেখা যায়, পূর্বদিক থেকে আসা ট্রাকটি কলাতলীর ঢালুতে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারায়। এসময় ট্রাকটি সড়কে দাড়িয়ে থাকা লোকজন, ২টি সিএনজি অটোরিক্সা ও ২টি ইজিবাইককে চাপা দেয়। এতে প্রায় ১০-১৫ জন ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।
পরে স্থানীয় লোকজন ও দমকল বাহিনীর দেড় ঘন্টার প্রচেষ্টায় ট্রাকের নিচে চাপা পাড়া সবাইকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রাকের একটি চাকা দাড়িয়ে থাকা সিএনজি সাথে দাড়িয়ে থাকা কিশোরকে চাপা দিয়ে দুমড়ে চলে যায়। থামতে বেশ কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে ট্রাকটির। ততক্ষণে ওই কিশোর পিষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু না! অবিশ্বাস্যভাবে ওই সময় ওই কিশোর ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে। ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে সে খুব স্বাভাবিকভাবে ট্রাকের নিচে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। পরে দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে উদ্ধার করে। কিন্তু বড় রকমের কোনো আঘাত ছাড়াই অবিশ্বাস্যভাবে সে বেঁচে যান।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার শহরের পর্যটন জোন কলাতলী ডলফিন মোড়ে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে নারীসহ দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে আহত এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় অন্তত ১০-১২জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অন্তত ৫-৬ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন