একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিয়ে অবশেষে শান্তির বার্তা নিয়ে এলো লাক্সমিয়া খাতুন

একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিয়ে অবশেষে শান্তির বার্তা নিয়ে এলো লাক্সমিয়া খাতুন

লাক্সমিয়া খাতুন নামে এক নারী একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে যশোর শহরে কুইন্স হাসপাতালে তিনি সন্তান প্রসব করেন। চার সন্তানের মধ্যে দুটি ছেলে ও দুটি মেয়ে। একসঙ্গে চার সন্তান জন্মের খবরে হাসপাতালে আত্মীয় স্বজন ও বিভিন্ন রোগীর স্বজনেরা ভিড় করছেন। বর্তমানে চার নবজাতক ও তাদের মা পুরোপুরি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্বজনেরা জানান, ২০১৪ সালে যশোরের বাঘারপাড়ার ভাঙ্গুড়া গ্রামের আব্দুর রহমান গাজীর ছেলে আবুল বাশারের সঙ্গে চাড়াভিটা গ্রামের ইমামুল খার মেয়ে লাক্সমিয়া খাতুনের বিয়ে হয়।

বিয়ের ৮ বছর পার হলেও পরিবারে কোনো অতিথি আসেনি। এ নিয়ে উভয় পরিবারে হতাশা আর অশান্তি বিরাজ করছিল। সন্তানের প্রত্যাশায় তারা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। অবশেষে সোমবার সকালে শান্তির বার্তা বয়ে আনে চার নবজাতক। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার যশোর শহরের বেসরকারি ক্লিনিক কুইন্স হাসপাতালে সিজারিয়ানের মাধ্যমে পরপর চারটি সন্তান জন্ম দেন তিনি। যশোর মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক নার্গিস আক্তার তার সিজার করেন।

এদিকে এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে হৈচৈ পড়ে যায়। এ আনন্দে হাসপাতালের এক কর্মকর্তা অপারেশন থিয়েটারের দায়িত্বরত সেবিকা ও দম্পতিকে এবং তাদের স্বজনদের মিষ্টি মুখ করান। নবজাতকের মা লাক্সমিয়া খাতুন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার সন্তান হতো না। চিকিৎসায় আল্লাহর রহমতে আমাদের ঘর আলো করে সন্তান এসেছে। করোনার মধ্যে সন্তান পৃথিবীতে আসবে এটা ছিলো আমাদের কাছে বড় টেনশনের ব্যাপার। কিন্তু সব টেনশন দূর করে আনন্দের বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে চার সন্তান। আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি ধন্যবাদ জানাই চিকিৎসক নার্গিস আক্তার ম্যাডামকেও।

অধ্যাপক নার্গিস আক্তার জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই দম্পত্তির কোনো সন্তান হয় না। জেলার বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েও কাজ হচ্ছিল না। দেড় বছর আগে আমার কাছে চিকিৎসার জন্য আসেন তারা। এই দম্পত্তির দুইজনেরই কিছু সমস্যা ছিলো। চিকিৎসায় তিন মাসেই এই গৃহবধূর পেটে বাচ্চা আসে। তার দুই মাস পরেই জানতে পারি ওই নারীর পেটে চার বাচ্চা। অনেক সময় একাধিক বাচ্চা হলে ২-১টি মারা যায়। কিন্তু আল্লাহর রহমতে এই নারীর কোনো সমস্যা হয়নি। সোমবার সিজারের মাধ্যমে তার দুটি ছেলে ও দুটি মেয়ে সন্তান হয়েছে। তারা সবাই ভালো রয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password