জ্যৈষ্ঠকে বলা হয় ‘মধু মাস’। এ মাসে হরেক রকমের ফল পাওয়া যাচ্ছে হাট-বাজারে। ইতোমধ্যে বাজারে আম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ, বাঙ্গিসহ হরেক রকমের ফল দেখা মিলছে সকল হাট বাজারে। তার মধ্যে নতুন করে দেখা মিলছে তালের শাঁস। প্রচণ্ড তাপদাহে চাহিদার পাশাপাশি তাল শাঁসের কদর বেড়েছে সারা দেশে।
মঙ্গলবার বিকেলে পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর তাল নিয়ে বসে আছেন নাদোড় গ্রামের শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। জানতে চাইলে তালের শাঁস বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছরই এ সময়ে আমি তালের শাস বিক্রি করে থাকি। গরমের এ দিনে তালের শাঁস বিক্রিও হয় ভালো। নজিপুরে বেশ চাহিদাও রয়েছে তালের শাঁসের। পাশাপাশি দামও ভালো রয়েছে। প্রতি ৪ পিস তালের শাস ২০ (বিশ) টাকা দরে বিক্রি করছি।
তিনি আরও বলেন, পত্নীতলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এসব তালের শাঁস কিনেছি। গাছ প্রতি ৪০০-৫০০ টাকা দরে। গাছ থেকে পাড়তে প্রতি গাছে ২০০ টাকা লেবারকে দিতে হয়। সারা দিন প্রতি ৪ পিস তালের শাঁস ২০ টাকায় বিক্রি করছি। সন্ধ্যার পর বেচাকিনার চাপ কিছুটা কম থাকায় কাস্টমারের সাথে ধরাধরি করে বিক্রি করতে হয়। সারাদিনে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকার তালের শাঁস বিক্রি করে আমার ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা মুনাফাও হয়।
তালের শাঁস কিনতে আসা কয়েকজন ক্রেতা জানান, বছরের এই সময়ে তালের শাঁস খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে গরমের দিনে তালের শাঁস খুবই উপকারী। তাই কিনলাম। একটু দাম বেশি তারপরেও ছেলেমেয়েদের খাওয়ার জন্য নিলাম। আরেকজন তাল শাঁস ক্রেতা বলেন, বাজারে এসে দেখি রাস্তার একপাশে তালের শাঁস বিক্রি করছে, তাই শখ করে বাড়ির সবার জন্য ২০ পিস তালের শাঁস নিলাম।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন