বগুড়ার শাজাহানপুরে মোটরসাইকেলে আসা হেলমেট পরিহিত একদল দুর্বৃত্ত বাড়ি ঘেরাও করে বাথরুমে ঢুকে শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হোসেন আলীকে (৩৫) এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বেতগাড়ি লিচুতলায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ছিলিমপুর মেডিকেল ফাঁড়ির এসআই শামীম হোসেন এ তথ্য দিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারের সদস্যরা হামলার কারণ ও জড়িতদের নাম বলতে পারেননি। তবে স্থানীয়রা বলেছেন, বালু ব্যবসা নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষ কলোনি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী রঞ্জন গ্রুপের লোকজন এ হামলা চালিয়েছেন। প্রতিবাদে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সরকার মুকুলের নেতৃত্বে উপশহর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বগুড়া শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হোসেন আলী শাজাহানপুর উপজেলার বেতগাড়ি লিচুতলা এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি বালু ও মাটির ব্যবসা করেন। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে হোসেন বাড়ির ওয়াশরুমে গোসল করছিলেন। এ সময় অন্তত ২০টি মোটরসাইকেলে ৫০-৬০ জনের একদল সন্ত্রাসী বাড়ি ঘেরাও করে।
তারা আশপাশে কাউকে আসতে দেয়নি। কয়েকজন বাড়ির ভিতরে ঢুকে গোসলরত হোসেনের মাথা, হাত-পা, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এরপর তারা বীরদর্পে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হোসেনের ভাই মিরাজুল ইসলাম মিজু ও ভাগ্নে রাহাদ জানান, মোটরসাইকেলে আসা হেলমেট পরিহিত ৫০-৬০ জন দুর্বৃত্ত বাড়ি ঘেরাও করে গোসলরত অবস্থায় তার ভাইকে ছুরিকাঘাত করে।
এর আগে তারা বাড়ি ঘেরাও করে রাখে এবং কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি। তবে তারা হামলাকারীদের নাম-পরিচয় বলতে পারেননি। শাজাহানপুরের কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সৈকত জানান, হামলাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এদিকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক সরকার মুকুল এ হামলার জন্য সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের দায়ী করেন। তারা হামলার প্রতিবাদে নিশিন্দরা উপশহর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন