সবুজ হাইড্রোজেন নীতির প্রস্তাবনা প্রকাশ করল মোদী সরকার।

সবুজ হাইড্রোজেন নীতির প্রস্তাবনা প্রকাশ করল মোদী সরকার।
MostPlay

লক্ষ্য জীবাশ্ম জ্বালানি দূরীকরণ। আর তার জন্য প্রয়োজন সবুজ বিকল্প। আর সেই উদ্দেশ্যেই সবুজ হাইড্রোজেন নীতির প্রস্তাবনা প্রকাশ করল মোদী সরকার। এই নীতি ভারতকে তার জলবায়ু নীতি সংক্রান্ত লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে এটি ভারতকে বিশ্বের গ্রিন হাইড্রোজেন হাব হিসাবে গড়ে তুলবে। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে ৫০ লক্ষ টন গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন হবে।

এমনটাই লক্ষ্য সরকারের। এই নীতি দেশে পূনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ডেভলপমেন্টে সহায়তা করবে। এক বিবৃতিতে এমনটা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী সভা। প্রস্তাবিত নীতির অধীনে, সরকার ৩০ জুন ২০২৫-এর আগে স্থাপিত হাইড্রোজেন এবং অ্যামোনিয়া প্রস্তুতকারকদের ২৫ বছরের জন্য আন্তঃরাজ্য ট্রান্সমিশন চার্জ মুকুবের ঘোষণা করেছে। এছাড়া সরকার উৎপাদনকারী প্রাদেশিক ইউটিলিটি নেটওয়ার্কগুলিতে পৌঁছতে সহায়তা করবে৷ সবুজ বিদ্যুত্ উৎপাদকের জন্যও রয়েছে সুবিধা। এই উৎপাদক সরকারি ডিস্ট্রিবিউটদের কাছে ৩০ দিনের জন্য বিদ্যুতের ব্যাঙ্কিংয়ের সুবিধা পাবে।

এর ফলে পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীরা পরবর্তী সময়ে ব্যবহার করার জন্য, উদ্বৃত্ত আউটপুট সংরক্ষণ করতে পারবে। হাইড্রোজেন এবং অ্যামোনিয়া উৎপাদনকারীরাও পাওয়ার এক্সচেঞ্জ থেকে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্রয় করতে পারবে। নীতির বাস্তবায়ন হলে আমজনতা সবুজ জ্বালানি ও বিদ্যুতের নাগাল পাবে। সেই সঙ্গে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা হ্রাস পাবে। ফলস্বরূপ অপরিশোধিত তেল আমদানিও কমবে। অন্যদিকে হাইড্রোজেন এবং অ্যামোনিয়ার রপ্তানি কেন্দ্র হিসাবেও বিশ্বে শীর্ষ স্থান পেতে পারে ভারত।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password