করোনা পরিস্থিতির কারনে চাকরির বয়স হারানোদের বিশেষ সুযোগ দেওয়ার আশ্বাস -জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর

করোনা পরিস্থিতির কারনে চাকরির বয়স হারানোদের বিশেষ সুযোগ দেওয়ার আশ্বাস -জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর
MostPlay

করোনা পরিস্থিতির কারণে চাকরির বয়স হারানোদের ক্ষেত্রে বিশেষ সুযোগ দেয়া হতে পারে। প্রায় ১৬ মাস ধরে বন্ধ থাকার পর শুরু হচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। আগের সময়ে যারা আবেদনের জন্য যোগ্য ছিলেন তারা পাবেন এই বিশেষ সুযোগ। করোনা মহামারীতে ১৬ মাসে ৪.৫ লাখ চাকরিপ্রার্থী তাদের বয়স হারিয়েছে।

আরো একটি প্রতিবেদনে উঠে আসে বাংলাদেশে এই মহামারীতে বছরে প্রায় ২.৫ লাখের বেশি মানুষ তাদের চাকরি হারাচ্ছে। এ সম্পর্কে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, করোনা ক্ষতিগ্রস্তদের এমন সুযোগ পাওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। সেভাবেই আমরা নতুন চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।

করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে গত দেড় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে সকল নিয়োগ পরীক্ষা ও শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান।এই সময় অনেকের চাকরির বয়সসীমা ৩০ অতিক্রম করে গেছে। দিশাহারা হয়ে পড়েছেন অনেক চাকরিপ্রার্থী। বাড়ছে মানসিক চাপ ও হতাশা। বেসরকারী পর্যায়েও নিয়োগের পরিবর্তে অনেক প্রতিষ্ঠান জনবল কমিয়েছে। এতে বেড়েছে বেকারত্বের হার।

এমন অবস্থায় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়াতে আন্দোলনে নেমেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।ইতোমধ্যে চাকরির বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩৫ করতে ইতোমধ্যেই সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি। আগামী ২৫ জুন বিকেল থেকে শাহবাগে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দেয়া হয় এ কমিটির পক্ষ থেকে।দেড় থেকে দুই বছরের সেশনজটে পড়েছেন ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী।

গত ১১ জুন চাকরির বয়সসীমা ৩২ করার দাবিতে ঢাকার শাহবাগে বৃষ্টি,রোদকে উপেক্ষা করে আন্দোলনে অংশ নেয় কয়েক হাজার চাকরি প্রত্যাশীরা।এর আগে ৬ জুন তারা ঢাকা রিপোর্টাসর ইউনিটিতে সংবাদ সসম্মেলন করে তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়টি নীতিগত সিদ্ধান্ত। এটি বাড়ানো হয়তো সম্ভব হবে না। তবে করোনার কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হবে। যে সময় যে বিজ্ঞাপন হওয়ার কথা ছিল, সেই সময়ে যারা যোগ্য ছিলেন, তাদের আবেদনের সুযোগ দেয়া হবে নতুন বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে। আমরা মনে করি, করোনা মহামারীর কবলে পড়ে যারা চাকরির বয়স হারিয়েছেন, তাদের সুযোগ দেয়া প্রয়োজন। এই সময় যে সকল বিজ্ঞাপন হওয়ার কথা ছিল, সেগুলোতে ওই সময় পর্যন্ত যাদের বয়স ত্রিশ বছরের মধ্যে ছিল তারা আবেদন করতে পারবেন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশে তিন লাখের বেশি পদ শূন্য রয়েছে। আমরা এগুলো পূরণের চেষ্টা করব। চলমান লকডাউনের মধ্যে অনেক বেসরকারী প্রতিষ্ঠানই তাদের কর্মী কমিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে কমেছে তাদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। গত এপ্রিল থেকে সরকারী প্রতিষ্ঠানের নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও খুব কম। করোনার বিস্তার মোকাবেলায় সরকারের জারি করা বিধি-নিষেধের কারণে আটকে আছে একাধিক সরকারী নিয়োগ পরীক্ষা।

পরীক্ষা নিতে না পারায় বিসিএসেও জট লেগে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাগুলোও আটকে আছে। চাকরিতে প্রবেশের বয়স স্থির হয়ে নেই। এ কারণে চাকরিপ্রার্থী তরুণরা হতাশ ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। দেশের সরকারি বে-সরকারি বিভিন্ন পদে পরীক্ষা ঝুলে ৯লাখের বেশি শিক্ষার্থীর। এদিকে সরকারি বিভিন্ন পদে শুন্য পদের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখ।

 এছাড়াও মাউশি অধিফতরের নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও উপপরিচালক (প্রশাসন) মোঃ রুহুল মমিন বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় আমরা লিখিত পরীক্ষা নিতে পারিনি। আমরা জুন মাসের প্রতি শুক্রবার পরীক্ষা নিয়ে অর্থাৎ চলতি অর্থবছরেই লিখিত পরীক্ষা শেষ করতে চেয়েছিলাম। প্রার্থীদের ইন্টারভিড কার্ডও দেয়া হয়েছিল। করোনার সংক্রম বাড়ায় তা আর সম্ভব হয়নি। সরকারী বিধি-নিষেধ শেষ হলে আমরা পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করব।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password