নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানার অন্তর্গত কুমিল্লা- নোয়াখালী মহাসড়কে আজ হেযবুত তওহীদের সদস্যগণ একটি বিরাট মৌনমিছিল করে। সুজন হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনের শীর্ষনেতা হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে হাজার হাজার মানুষ শান্তিপূর্ণ এ মিছিলে অংশগ্রহণ করে।
মিছিলটি পোরকরা গ্রামের চাষীরহাট ইউনিউনের নতুন বাজার থেকে শুরু করে কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানার দিকে এক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে শহীদী জামে মসজিদের প্রাঙ্গণে এসে সমাপ্ত হয়। . উল্লেখ, গত ২৩ আগস্ট পাবনার হেযবুত তওহীদ কার্যালয়ে একটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সুজন মণ্ডল (৩৫) নামে এক তরুণ নিহত হয়। উগ্রবাদীরা রাত সাড়ে আটটায় ধারালো দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কার্যালয়ে অবস্থানরত হেযবুত তওহীদের নেতাকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং এলোপাথাড়িভাবে কোপাতে থাকে।
তাদের আঘাতে সংগঠনটির পাবনা জেলা সভাপতি সেলিম শেখসহ আরো ১৫/১৬ জন সদস্য আহত হয়। গুরুতর আহত দুইজনকে জরুরি চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত আড়াইটার দিকে হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুজন মণ্ডল। . সুজন হত্যার প্রতিবাদে আজ হেযবুত তওহীদের এমাম নোয়াখালীর নিজ পৈত্রিক নিবাসের আঙিনায় স্থাপিত শহীদী জামে মসজিদ থেকে তাঁর নেতৃত্বে জুমার পর এই মৌন প্রতিবাদ মিছিল বের হয়।
বিগত তিন সপ্তাহ সারাদেশে সুজন হত্যার বিচারের দাবিতে দেশজুড়ে প্রত্যেক জেলাসদরে মানববন্ধন, ডিসি-এসপি কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করে আসছে। এরই অংশ হিসাবে নোয়াখালীতে আজ জুমার নামাজের পর মৌনমিছিল এবং নিহত সুজনের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিল শেষে হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘বিগত ২৭ বছরে আমাদের উপর চার শতাধিক জঙ্গি-সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। ধর্মান্ধ উগ্রপন্থী একটি শ্রেণি আমাদের বিরুদ্ধে ওয়াজ মাহফিলে, খোতবায়, অনলাইনে মিথ্যাচার করে অপপ্রচার করে যাচ্ছে। যার ফলে বারবার আমরা এভাবে উগ্রবাদীদের চাপাতির শিকার হাচ্ছি। এবার আমরা মাঠে নেমেছি। আমাদের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে নিজেদের মত প্রকাশের, সংগঠন করার, জীবন ধারণ ও ব্যবসা বাণিজ্য করার।
কিন্তু বারবার আমাদের কার্যালয়ে বাড়িঘরে হামলা করার জন্য একটি গোড়াপন্থী, উগ্রগোষ্ঠী আমাদের বিরুদ্ধে আমরা যা বলি না, যা করি না তা বলে বেড়াচ্ছে এবং আমাদের উপর হামলার উস্কানিমূলক ফতোয়া দিচ্ছে। আমরা চাই সরকার এই ফতোয়াবাজদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিন। এরাই হত্যাকাণ্ডগুলোর মূল ইন্ধনদাতা। আর হামলা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।’
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন