রাজধানীর মিরপুরে আবারও সড়কে অবস্থান নিয়েছে পোশাক শ্রমিকরা। মিরপুরে বিক্ষুদ্ধ গার্মেন্টস কর্মীদের সড়কে অবস্থান নেয়ায় সকালে প্রায় এক ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিলো। এতে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ১৪ নম্বর পর্যন্ত সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিকশাও এ পথে চলতে দেওয়া হচ্ছে না। সাংবাদিকদের ছবি তুলতে এবং ভিডিও করতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। পোশাকশ্রমিকদের তৃতীয় দিনের আন্দোলনে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে রাজধানীর পল্লবীতে। আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল ও প্রধান সড়কের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুর ১২টার পর থেকে পল্লবী এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়। মঙ্গলবার আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর হামলা করেছিল সরকার দলীয় লোকজন। এ দিনও হামলা হতে পারে আশঙ্কায় আন্দোলনরত শ্রমিকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রধান সড়কে অবস্থান করছেন।
মিরপুর ২ নম্বরের মল্লিক টাওয়ারের সিকিউরিটি গার্ড রহিম মিয়া বলেন, সকাল সাড়ে ১১টায় শ্রমিকরা যখন মিছিল নিয়ে আমাদের এখানে এসেছিল তখন দোকানগুলো বন্ধ করা হয়েছিল। তবে শ্রমিকরা কোনো দোকান ভাঙচুর বা বন্ধ করেনি। শ্রমিকরা এখান থেকে চলে যাওয়ার পরে আবার পুনরায় মিরপুর রোডের দোকানগুলো খোলা হয়।
এর আগে সকাল ৮টার দিকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন পোশাকশ্রমিকরা। এতে মিরপুর ১০, ১১, ১২ এবং ১ ও ২ নম্বরের আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিকরা রাস্তায় কোনো যানবাহন দেখলেই ঘুরিয়ে দেন। সকাল ৮টার দিকে পল্লবী থানাধীন পূরবী বাসস্ট্যান্ড থেকে ১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়কে কয়েক হাজার শ্রমিক লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নেন।
এরপর তারা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মিরপুর ১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। আন্দোলনকারী শ্রমিকরা বলেন, গতকাল সরকার দলীয় লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। আগামী বছর নতুন বেতন কাঠামো অনুযায়ী আমাদের বেতন ২৩ হাজার টাকা হওয়ার কথা। এ জন্য চলতি মাসে গ্রেড ঠিক করার কথা ছিল।
কিন্তু মালিকপক্ষ গ্রেড পরিবর্তন ও বেতন বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তারা আগের বেতন বহাল রেখেই কারখানা চালাতে চায়। পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, শ্রমিকরা গত মঙ্গলবারের মতো আজকেও রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন