যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী। এ সময়ে আশপাশে অন্যান্য যাত্রীরা উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো প্রতিবাদ জানায়নি, নির্লিপ্ত দাঁড়িয়ে ছিলেন। আপার ডারবি পুলিশ বিভাগের সুপার টিমথি বার্নহার্ড বলেন, ওইদিন রাত ১০টার দিকে ৬৯ টার্মিনাল থেকে পুলিশকে কল দেওয়া হয়েছে। তখন মারকেট-ফ্রাংকফোর্ড লাইনে পশ্চিম দিকে যাওয়া একটি ট্রেনে এক অপরিচিত ব্যক্তি ওই নারীর ওপর হামলা চালিয়েছে।
এ ঘটনায় দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় পেনসিলভেনিয়া পরিবহন কর্তৃপক্ষের এক কর্মী পুলিশকে ফোন করেন। তিনি ফোন করে বলেন যে ট্রেনে থাকা একজন নারীর সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটেছে। পরবর্তী স্টপেজে অপেক্ষায় থাকা সেপটা ট্রেনে পুলিশ ওই নারীকে খুঁজে পায় এবং ধর্ষক ফিস্টন এনগয়কে গ্রেফতার করে। ওই নারীকে উদ্ধারের পর পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বার্নহার্ড ভিকটিমকে একজন ‘অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী নারী’ বলে অভিহিত করেছেন, যিনি পুলিশকে অনেক তথ্য দিয়েছেন।
তিনি ধষর্ণকারীকে চিনতেন না। বার্নহার্ড বলেন, ‘তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। আশা করি তিনি এই ট্রমা কাটিয়ে উঠবেন।’ বার্নহার্ড বলেন, ‘পুরো ঘটনা নজরদারি ক্যামেরার ভিডিওতে ধারণ করা হয়েছে। ভিডিওতে ধর্ষণের সময় ট্রেনে আরও অনেক যাত্রীকেই দেখা গেছে। সেখানে অনেক লোক ছিল। আমার মতে তাদের হস্তক্ষেপ করা উচিত ছিল; কারও কিছু করা উচিত ছিল।
এ ঘটনা থেকে আমাদের সমাজ কোথায় আছে তা বোঝা যায়; আমি বলতে চাচ্ছি, পৃথিবীর কোন দেশে কে প্রকাশ্যে এমন কিছু ঘটতে দেবে? তাই এটা উদ্বেগজনক।’ তিনি বলেন, ‘এটা বিরক্তিকর। আমি হতবাক, আমি বাকরুদ্ধ। যাত্রীরা নিজের চোখ দিয়ে যা দেখছে তা আমি কল্পনাও করতে পারছি না এবং তারা এই নারীর ওপর কী চলছে তা দেখেও কেউ এগিয়ে এসে তাকে সাহায্য করল না।’
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন