খাল দখল করে মার্কেট নির্মাণ

খাল দখল করে মার্কেট নির্মাণ
MostPlay

নড়াইলের কালিয়ায় চাঁচুড়ি বাজারসংলগ্ন সরকারি খাল দখল করে ব্যবসার জন্য স্থায়ীভাবে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের ফুলদহ গ্রামের মনির শেখ ও কামাল শেখ নামের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা খালটি দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করছেন। দখলদারদের দাবি, এটি সরকারি জায়গা নয়, তাদের নিজস্ব জমি।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, এটি সরকারি খাল। একসময় প্রবহমানও ছিল। তবে অব্যাহত দখল ও দূষণে খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। আর দখলকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। স্থানীয় সূত্র জানায়, খালটি চিত্রা নদ থেকে উৎপন্ন হয়েছে।

খালটি চাঁচুড়ীর বিল থেকে চাঁচুড়ী বাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে অসংখ্য গ্রাম ও বিলের মধ্য দিয়ে এঁকে বেঁকে প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার লম্বা। এক সময় কৃষকের সেচকাজের জন্য একমাত্র মাধ্যম ছিল এই খাল। এখন আর সেচকাজের জন্য তেমন একটা ব্যবহার না হলেও জেলার সর্ববৃহৎ চাঁচুড়ী বিল ও পাটেশ্বরী বিলসহ চাঁচুড়ী বাজারের পানিনিষ্কাশনের একমাত্র পথ খালটি।

কিন্তু কয়েক বছর ধরে ধীরে ধীরে খালটি দখল করে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা। খালটির চাঁচুড়ী বাজার অংশে রাতারাতি দোকানপাট নির্মাণ করে ভাড়াও তুলছেন তারা। এ কাজে তাদের কেউ বাধা দিতেও সাহস পাচ্ছে না। ফলে প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নতুন করে আরো কয়েকটি দোকানঘর নির্মাণ করছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, শুকনো মৌসুম হওয়ায় খালের পানি শুকিয়ে যাওয়ার সুযোগে স্থানীয় মনির শেখ ও কামাল শেখ খালটির দক্ষিণ পাড় থেকে ভেতরের দিকে প্রায় ১৫/২০ ফুট পর্যন্ত গ্রেট ভিম দিয়ে কংক্রিটের পিলার ও ওয়াল দিয়ে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। এ স্থাপনা নির্মাণের জন্য খালের প্রায় ২ শতাংশ জায়গা দখল করা হয়েছে। নির্মাণ শ্রমিকরা জানান, চিংড়ী ও সাদা মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য একটি চাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। এর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে।

চাঁচুড়ী হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমরুল ইসলাম বলেন, বাজারের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ খালটি। দখলের কারণে এটি অনেকটাই ছোট হয়ে এসেছে। এর মধ্যে নতুন করে খালের জমি দখল পাকাঘর নির্মাণ করছেন। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যহত হবে। সরকারি খাল এভাবে দখল হলেও প্রশাসনের নজরদারি নেই।

এ প্রসঙ্গে কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, খাল বা জলাধার দখল করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে; খালের জমির মধ্যে যদি পাকা ঘর নির্মাণ হয়ে থাকে তা ভেঙে ফেলার ব্যবস্থা করা হবে। জানতে চাইলে কামাল শেখ বলেন, খালের সঙ্গে লাগোয়া আগের দোকানঘরের উত্তরপাশের ওয়াল ছিল। খালের পানির স্রোতে ওই বিল্ডিং ভেঙে পড়ে। সেই ওয়াল ভেঙে পড়ার জন্য একটু ফাউন্ডেশন দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password