রাত পোহালেই কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার মানিকারচর ইউনিয়ণ আওয়ামীলীগের সম্মেলন। নতুন পুরাতনসহ নানা নেতাকর্মী নানা পদ পদবী নিয়ে লড়বেন এবার সম্মেলনে। তবে প্রশ্ন উঠছে সাধারণ সম্পাদক নিয়ে। গতবারের ন্যায় এবারও সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন বর্তমান মানিকারচর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মতিন।
মোহাম্মদ মতিন জয়পুর গ্রামের আলমাস মাস্টারের ছেলে। তিনি গত সম্মেলনে সাধরণ সম্পাদক পদ পাওয়ার পর পর তার নিজস্ব ফেইসবুকে একটি পোষ্ট দিয়ে বলে ছিলেন আমি অচিরেই সব ধরনের পোস্ট পদবী থেকে সরে দাড়াচ্ছি। কিন্তু তিনি আওয়ামীলীগ এর সকল কর্মকান্ড থেকে সরে থাকলেও সরে থাকেননি গত ইউপি নির্বাচনের মনোনয়নের সময়। আবার দেখা গেছে মনোনয়ন শেষ তার রাজনীতি ও শেষ।
সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন যে ব্যক্তি নিজে ইস্তফা দিয়ে ফের সম্মেলনে প্রার্থী হতে চায় তার লক্ষ কি হতে পারে?
সময় ১৯ জুন ২০১৯ মোহাম্মদ মতিন তার ফেইসবুকে লিখেছিলেন-
আসসালামু ওয়ালাইকুম, প্রিয় মেঘনাবাসি, সব ধরনের দলীয় পদ পদবী ও কর্মকান্ড থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মেঘনা উপজেলার প্রতিষ্ঠালগ্নে মেঘনা উপজেলা ছাত্রলীগ এর জনাব হুমায়ুন মৃধা আহবায়ক, আমি মোহাম্মদ আব্দুল মতিন সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করি। পরবর্তীতে মানিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের এর মাধ্যমে মানিকারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়ে এখন পর্যন্ত বলবৎ থেকে দীর্ঘ প্রায় ২০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে চলার পথে বা অনিচ্ছায় যদি কারো মনে কোন রকম আঘাত দিয়ে থাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। তবে সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার চেষ্টা করব। ইনশাআল্লাহ, সাধ্যমত মানুষের সেবা করার চেষ্টা করব সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী ।
কিন্তু পর্যালোচনা করে দেখা গেছে তার দেওয়া পোষ্টে অনেকটাই মিথ্যা আছে যেমন- তখন ঐ কমিটির সদস্য সচিব তিনি ছিলেন না। তিনি ঐ কমিটির ১ নং যুগ্ম আহবায়ক ছিলেন এবং হুমায়ুন মৃধা ছিলেন আহবয়ক, এমরান হোসেন আকাশ ছিলেন ঐ কমিটির সদস্য সচিব। সে ছিলো ১১ নম্বর সাধারণ সম্পাদক।
নিজের কথা রাখতে পারলেন না মোহাম্মদ আবদুল মতিন। প্রতিজ্ঞার কথা ভূলে গিয়ে এবারও সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বেন। আওয়ামী নেতাদের মনে প্রশ্ন কোন স্বার্থে মতিন নিজের প্রতিজ্ঞা ভুলে আবার সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন?
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন