নওগাঁয় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে গাছপালা আম ধানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয় এই তাণ্ডব। এমন দুর্যোগে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় কৃষকের চোখে-মুখে এখন হতাশার ছাপ।
আজ শনিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার দমকা ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টির সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিতে জেলায় ফসলের ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়েছে জেলার সাপাহার, পত্নীতলা, মান্দা, বদলগাছী উপজেলার শতাধিক গ্রাম। কোথাও কোথাও বজ্রপাতও হয়েছে। ঘরের চালা উড়ে গেছে। অনেক কাঁচা-পাকা ঘর ভেঙে গেছে। এ ঝড়-বৃষ্টিতে আম, ধান, ভুট্টা,কলাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কৃষকরা তাদের ক্ষতিগ্রস্ত ফসল রক্ষার জন্য দিনভর কাজ করছেন। কারও কষ্টের ফসলের নুইয়ে পড়া ও আম ঝড়ে যাওয়া দেখে মুখ ভার, কারও-বা এখান থেকে বাকিটুকু পরিচর্যা করার চেষ্টা।
নওগাঁ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক একে এম মোরশেদ জানান, শহরের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় গাছ ভেঙে ও বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে গেছে। রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে ঝড়ে বিভিন্ন জায়গায় বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে যাওয়ায় এখন পর্যন্ত (দুপুর দেড়টা পর্যন্ত) অর্থাৎ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলায় বেশ কিছু উপজেলায় কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ আছে। এ ছাড়াও ধামইরহাট,পত্নীতলা,বদলগাছী ও পোরশা উপজেলায় ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক সামসুল ওয়াদুদ জানান, ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে জেলায় বোরো ধান ৩৪ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমির ধান নুয়ে পড়েছে, আম ১০ হাজার ৫৬৫ হেক্টর ৫ শতাংশ আম ঝড়ে পড়েছে, কলা গাছ ৩৫ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে, শাকসবজি ২৭ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন