সম্মিলিতভাবে ভারত খেদাও আন্দোলন করতে হবে: ডা. জাফরুল্লাহ

সম্মিলিতভাবে ভারত খেদাও আন্দোলন করতে হবে: ডা. জাফরুল্লাহ
MostPlay

আজ ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় ২২/১ তোপখানা রোডস্থ বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ হলে নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে “আবরার ফাহাদ দিবস” পালন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “শক্তিশালীরাও পরাজিত হয়। আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনী পরাজিত হয়েছে। বাংলাদেশেও শক্তিশালীদেরকে পরাজিত করতে হবে।

সম্মিলিতভাবে ভারত খেদাও আন্দোলন করতে হবে। সে আন্দোলন হবে রাজপথে।” তিনি বলেন, “কনক সরওয়ারের বোন রাকাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। রাকাকে যেই কেমিক্যালসহ গ্রেফতার করা হয়েছে সেটি মাদক নয়, ঔষধ। এই ঔষধ আমার কাছেও আছে।” তিনি আরো বলেন, “মোদী বিরোধী আন্দোলনকারী আলেম—ওলামা—ছাত্র—যুবকদের মুক্তি দিতে হবে।

বিচারকরা সুয়োমোটো করে এই জামিন নিশ্চিত করতে হবে। বিচারকদের দায় শুধুমাত্র পরিমনির জন্য নয়, সকলের জন্য।” তিনি আবরার ফাহাদ দিবস প্রতি বছর পালনের ঘোষণা দিয়ে নাগরিক পরিষদের দাবির সাথে একমত পোষণ করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, “আমাদের দেশের প্রধান সংকট সার্বভৌমত্বের সংকট। যেই জাতি তার জাতীয় সংকট চিহ্নিত করতে পারে সে জাতি সকল সংকট উত্তরণ করতে পারে। আমরাও সার্বভৌমত্বের সংকট মোকাবেলা করতে শহীদ আবরার ফাহাদের চেতনায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলবো।

ওমর খৈয়ামের মতো আবরার ফাহাদের ফেসবুক দেখলেই মনে হবে সে একজন নিখাদ দেশপ্রেমী, তার মৃত্যু শহিদী মৃত্যু। আবরার ফাহাদ দিবস আমরা প্রতিবছর জাতিগতভাবে পালন করবো।” সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন বলেন, “নাগরিক পরিষদের পক্ষ থেকে শহীদ জাতীয় বীর আবরার ফাহাদ দিবসে বাংলাদেশের সীমান্ত হত্যা ও আসামের মুসলিম নিধন বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। বাংলাদেশকে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ত্যাগ করে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলার আহ্বান জানাই।

সীমান্ত হত্যা ও আসামে মুসলিম নিধন বন্ধে আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশকে দাবি উত্থাপনের আহ্বান জানাই। তিনি নাগরিক পরিষদের পক্ষ থেকে বুয়েটে আবরার ফাহাদের নামে ছাত্রাবাসের নামকরণ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটের মধ্যবতীর্ রাস্তার নাম ‘আবরার ফাহাদ সরণী’ করার দাবি জানান। প্রতিবছর ৭ই অক্টোবর আধিপত্য প্রতিরোধ দিবস হিসেবে আবরার ফাহাদ দিবস পালনের জন্য রাষ্ট্র, সরকার ও সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি মোঃ হারুন অর রশিদ খান, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শওকত আমীন, মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার সামছুল করীম সেলিম, এনডিপি’র চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের, সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলনের আহ্বায়ক মিনহাজ উদ্দিন সেলিম, নেজামে ইসলাম পার্টির কার্যকরী সভাপতি এ কে এম আশরাফুল হক, শ্রমিক নেতা ডা. সামছুল আলম, প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ ফোরামের সভাপতি এন. ইউ. আহম্মদ, গরিবী হটাও আন্দোলনের সভাপতি সায়েদুল হক লিটন, সম্পাদক মিতু ইসলাম, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া, বাংলাদেশ জাতীয় লীগের চেয়ারম্যান ড. ফুয়াদ হোসেন, বাংলাদেশ মুসলিম সমাজের সভাপতি ডা. মাসুদুর রহমান, ছাত্রনেতা আল—আমিন, ছাত্রনেতা জোনায়েত হোসেন প্রমুখ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password