আজ সকাল ১০টায় জোতবাজার ত্রিমহনী ফকিন্নি নদীর শেখ সাহাজান আলী ফটিক সেতুর উপরে নদী সংস্কারের অতিরিক্ত মাটি অপসারণ বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী।
আঃ ছালামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তারা জানান,নুরুল্যাবাদ ত্রিমহনী ফকিন্নি নদীর ১৪,৪০০মিটার দৈর্ঘ্য পুনঃখনন কাজ ডিসেম্বরের ৬তারিখ শুরু হয়ে বর্তমানে সমাপ্ত হয়েছে। নদীর ধারে বসবাসরত সকল মানুষের আবাদি জমি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয় সংস্কারের কাজের জন্য।এমনকি নদী সংলগ্ন বেড়িবাঁধ থাকায় বেড়িবাঁধের ভিতরের প্রায় ১০০একর জমির চাষবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন এলাকা বাসী। সেই বাধটি সংস্কারের অভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে নির্ঘম রাত কাটাতে হয় মাঝেমধ্যে ভেঙ্গে গিয়ে খাদ্যশস্য নষ্ট হয়ে যায়।
নদী সংস্কারের মাটি বেরি বাঁধ সংলগ্ন থাকায় বাধটি সংস্কারের অভাব দুর হলে পার্শ্ববর্তী জমির মালিকেরা আশায় বুক বাঁধে। মাটি অপসারণ করা হলে পুনরায় তাদের ফসল হুমকির মধ্যে পরে যাবে। মানববন্ধন কর্মসূচি তে অংশগ্রহণ কারীদের বক্তব্যে জানা যায়,মান্দা থানা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, অতিরিক্ত মাটি ব্যবহার করতে ও বাগান তৈরি করে ব্যবহার করতে পারবেন।
গতকাল মাইকিং শুনে অতিরিক্ত মাটি লিজ দেওয়া হবে।কর্তপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এলাকাবাসী কর্তপক্ষের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। ফকিন্নি নদীর শেখ সাজাহান আলী ফটিক সেতু নির্মানে জমি অধিগ্রহণ করে অর্থ না দিয়ে, ফকিন্নি নদী র খনন কাজ শেষে অতিরিক্ত মাটি জমার জমিতে রেখে চলতি বোরো মৌসুমের ফসলের ক্ষতি, কৃষকগন জমি অধিগ্রহণ অর্থ না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছে । অতিরিক্ত মাটি ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে না দিলে ডুবাই রূপান্তরিত হবে যা ফসলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়বে। বিধায় অতিরিক্ত মাটি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মাঝে বন্টন করে জমির ক্ষতিগ্রস্ত হাত থেকে রক্ষার দাবী জানান মানববন্ধন কারীরা।
কর্তৃপক্ষের এমন সিন্ধান্ত জনগনের জন্য ক্ষতিকর, সুতারাং জনগনের ক্ষতির কারন হয় এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানান মানববন্ধন কারীরা। এ-সময় উপস্থিত ছিলেন মোজাম্মেল, সামাদ,জাফর, নমির,জমির,মোতাহার, একরামুল, জব্বার প্রমুখ সহ বিভিন্ন শ্রেণী -পেশার মানুষ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন