যুক্তরাজ্যের গ্লাসগো শহরে আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অনুপস্থিত থাকায় যে সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সম্প্রতি তার জবাব দিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘চীন কাজে বিশ্বাসী, মৌখিক আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতিতে নয়। যারা কাজে বিশ্বাস করে, তারা তাদের সক্রিয় কার্যক্রম দিয়েই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে।’
‘জলবায়ুকে রক্ষা করতে হলে আমাদের প্রয়োজন যথাযথ কর্মপরিকল্পনা এবং সেই অনুযায়ী কর্মসূচি নির্ধারণ, মৌখিক আস্ফালন বা ফাঁকা বুলি নয়।’ গ্লাসগোতে সোমবার থেকে শুরু হওয়া কপ ২৬ আন্তর্জাতিক জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান উপস্থিত থাকলেও সেখানে যাননি বিশ্বের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। অবশ্য সম্মেলনে উপস্থিত না থাকলেও সেখানে নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদের পাঠিয়েছেন তারা।
এদিকে, বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি এ দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান অনুপস্থিত থাকার কঠোর সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার এক ভাষণে চীনের উদ্দেশে বাইডেন বলেন, ‘চীন বিশ্বের মোড়ল হিসেবে আবির্ভূত হতে চাইছে। কিন্তু জলবায়ু সম্মেলনে দেশটির প্রেসিডেন্টের না আসার সিদ্ধান্ত একটি বড় ভুল এবং এটি চীনের ‘স্বপ্ন পূরণে’ সহায়ক হবে না।’
ভ্লাদিমির পুতিনকে কটাক্ষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, যেখানে রাশিয়ার বনাঞ্চলসমূহ পুড়ছে, সেখানে কেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সম্মেলনে এলেন না- তার তার ‘বোধগম্য’ হচ্ছে না। রাশিয়ার সরকার এই সমালোচনার জবাব না দিলেও তাৎক্ষনিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সমালোচনার জবাব দিয়েছিলেন জাতিসংঘে চীনের প্রতিনিধি ঝ্যাং জুন। এক বার্তায় ঝ্যা্ং জুন বলেন, এই সম্মেলন আসলে ফাঁকা স্লোগান, অপরিবর্তণীয় নীতি, বিলাসবহুল মোটরগাড়ির শোভাযাত্রা ও বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতিনিধিদের ভিড় ছাড়া ‘কিছুই নয়’।
ঝ্যাং জুনের বার্তার পরই বাইডেনের সমালোচনার জবাব দিয়ে বক্তব্য দিলেন ওয়াং ওয়েনবিন। প্রসঙ্গত, কার্বন ও জলবায়ুর জন্য ক্ষতিকর গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে আছে চীন। এই তালিকায় চীনের পরেই, অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন