স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যায় প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ২

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যায় প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ২
MostPlay

বগুড়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক নাজমুল হাসান অরেঞ্জ (২৮) হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তারা হলেন- প্রধান আসামি শুটার রাসেল আহমেদ ও খাইরুল ইসলাম। সোমবার রাতে বগুড়া সদরের ফাঁপোড় এলাকা থেকে খাইরুল ইসলাম ও রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে রাসেল আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়।

এ নিয়ে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় তিনজনকে গ্রেফতার করা হলো। র‌্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে। পুলিশ জানায়, বগুড়া শহরের মালগ্রাম এলাকায় মাদক, জুয়া ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধের জের ধরে গুলিবিদ্ধ নেতা নাজমুল হাসান অরেঞ্জ (২৮) সোমবার রাত ১১টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

গত ২ জানুয়ারি রাতে শহরের মালগ্রাম এলাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। হামলার পর অরেঞ্জের স্ত্রী স্বর্ণালী আকতার সদর থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মামল করেন। আহত একই সংগঠনের ওয়ার্ড কমিটির নেতা মালগ্রাম ডাবতলার মৃত মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মিনহাজ শেখ আপেল (২৫) সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

সদর থানায় করা মামলায় আসামি হলেন- শহরের মালগ্রামের একরাম হোসেনের ছেলে রাসেল আহমেদ (৩২), তার ছোটভাই মো. রাসানী (২৭), মালগ্রাম ডাবতলা মোড় এলাকার মৃত রহমান ফকিরের ছেলে খাইরুল ইসলাম (৪৮), একই এলাকার খাইরুল ইসলামের ছেলে মো. সুমন (২০), মালগ্রাম বেলতলার মতিন শেখের ছেলে মো. শাকিব (২২), জাকির হোসেনের ছেলে মো. হাবিব (২৪) ও আইনুল কসাইয়ের ছেলে মো. টিপু (২৬)।

র‌্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার সোহরাব হোসেন জানান, সোমবার রাত ৩টার দিকে বগুড়া সদরের ফাঁপোড় এলাকা থেকে ৩ নম্বর আসামি খাইরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া র‌্যাব-৩ সদস্যরা সোমবার রাতে রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে প্রধান আসামি শুটার রাসেল আহমেদকে গ্রেফতার করেন। সদর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, মামলার পর ৭ নম্বর আসামি টিপুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

র‌্যাব সদস্যরা রাসেল ও খাইরুলকে গ্রেফতার করেছে। খাইরুলকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত রাসেলকে থানায় আনা হয়নি। রাসেলের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় ৫-৬টি মামলা রয়েছে। তিনি আরও জানান, এর আগে গ্রেফতারকৃত টিপুকে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। এই দুজনকেও আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password