না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ‘ইত্যাদি’ খ্যাত গায়ক আকবর

না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ‘ইত্যাদি’ খ্যাত গায়ক আকবর
MostPlay

‘ইত্যাদি’ খ্যাত গায়ক আকবর মারা গেছেন। রবিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে গায়কের স্ত্রী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখে আকবরের পায়ের গোড়ালির কিছু অংশ কাটা হয়। এরপর মাংস অল্প অল্প করে কেটে পচন রোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। পচন ঠেকাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত হাঁটুর নিচ থেকে পা কেটে ফেলা হয়েছিল।

গত মাসের ১৯ সেপ্টেম্বর গায়ক আকবরের স্ত্রী কানিজ জানিয়েছিলেন, ‘পচন ধরায় পায়ের গোঁড়ালির কিছু কিছু অংশ অস্ত্রোপচার করে কেটে ফেলা হচ্ছে। এর একমাস পর ১৭ অক্টোবর কানিজ ফাতেমা জানিয়েছিলেন, গোড়ালির মাংস কেটে কেটে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল।

সেটা সম্ভব হচ্ছিল না যখন, তখন টিস্যু প্রতিস্থাপনের মাধ্যমেও চেষ্টা করা হয়। ’ কানিজ ফাতেমা বলছিলেন, ‘আমরা নিরুপায় হয়ে গিয়েছিলাম। পরে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সহযোগিতায় বেটার লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা উনাকে। এখানেই পা কেটে ফেলা হয়। ’ আকবর ভারতেও চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সেখান থেকে ভালো হয়ে ফিরেওছিলেন। মাঝখানে হাঁটতে পারছিলেন না। তারপর ক্র্যাচে ভর করে হেঁটে বেড়াচ্ছিলেন।

আকস্মিক এমন অবস্থার কারণ সম্পর্কে কানিজ ফাতেমা বলেন, ‘কেন এমন হলো বুঝতে পারছি না। ওষুধও চলছিল। তবে চিকিৎসকরা মনে করছেন ডায়াবেটিসের কারণে এমন ঘটনা দ্রুত ঘটেছে। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার কারণে স্টেজ শো করতে পারছেন না তিনি। ’ এর আগেও আকবর ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। সে সময় অভিনেতা ডিপজলের সহায়তায় ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন।

রাজধানীর বেটার লাইফ হাসপাতালে আকবরের পা কেটে ফেলা হয়েছিল। এরপর বাসায় ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু পরে জটিলতা দেখা দিলে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় আকবরকে। ৫ নভেম্বর আকবরকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। সে সময় ডাক্তাররা জানান যে কোনো সময় লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হতে পারে।

এজন্য স্ত্রী কানিজ ফাতেমার একটি সাক্ষর নিয়েছেন। এর দুদিন পরেই আকবরকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে ফিরলেন না তোমার হাত পাখার বাতাসে খ্যাত গায়ক আকবর। স্ত্রী ও কন্যা অথৈকে রেখে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন এই গায়ক। রবিবার বিকেল ৩.০৫ মিনিটে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ‘ইত্যাদি’ খ্যাত গায়ক আকবর।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password