না ফেরার দেশে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা

না ফেরার দেশে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা
MostPlay

চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভারতীয় টিভি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। ২০ নভেম্বর দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিটে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ২৪ বছর। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ১ নভেম্বর রাতে স্ট্রোক হলে ঐন্দ্রিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তারপর থেকে আর জ্ঞান ফিরেনি তার। গত কয়েক দিন ধরে ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থা অস্থিতিশীল ছিল। রক্তচাপ বেশ ওঠানামা করছিল। এছাড়া গণমাধ্যমগুলো আরো জানায়, গত ১৬ নভেম্বর সকালে প্রথম হৃদরোগে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা শর্মা। সবশেষ ১৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে অন্তত ১০ বার হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। আর সেখানেই মারা যান তিনি। এরআগে গত ১৫ নভেম্বর ঐন্দ্রিলার সিটি স্ক্যান করানো হয়। তাতে জানা যায়, স্ট্রোকের পর ঐন্দ্রিলার মাথার যে পাশে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল, তার বিপরীত দিকে রক্ত জমাট বেঁধেছে। যা নতুন করে চিন্তায় ফেলে চিকিৎসকদের।

নতুন করে যে রক্ত জমাট বাঁধে, তা আকারে এতই ক্ষুদ্র যে অস্ত্রোপচার করা যাচ্ছিল না। তাই ঔষধ দিয়ে কমানোর চেষ্টা করেন ডাক্তাররা। কিন্তু সবশেষ তারাও হার মানেন অভিনেত্রীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। জানা যায়, ২০১৫ সালে টেন্টস নামক বিরল ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। প্রায় দেড় বছরের লড়াই শেষে ক্যানসার জয় করেন তিনি।

১৬টি কেমোথেরাপি ও ৩৩টি রেডিয়েশনের পর সুস্থ হন এই অভিনেত্রী। কিন্তু গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঐন্দ্রিলার ডান ফুসফুসে টিউমার ধরা পড়ে। এরপর আবারো মরণব্যাধি ক্যানসার থাবা বসায় অভিনেত্রীর শরীরে। দীর্ঘদিন ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়ে পর্দায়ও ফিরেন এই অভিনেত্রী।

ক্যানসার জয় করে ‘ভাগাড়’ সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন ঐন্দ্রিলা। চলতি মাসে তার দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী শুটিং থেকে ছুটিও নিয়েছিলেন। কিন্তু আচমকাই গত ১ নভেম্বর রাতে তার স্ট্রোক হয়। তারপর থেকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এই নায়িকা।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password