ঝিনাইদহে ওয়াজ মাহফিলের মাঠে ছুরিকাঘাতে হুসাইন (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই আপন ভাই। বুধবার রাতে সদর উপজেলার মান্দারবাড়িয়া গ্রামের মাদরাসার ওয়াজ মাহফিলের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের শরীরের বিভন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত হুসাইন ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ইসলামপাড়ার মনিরুল ইসলামের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, হুসাইন, ফিরোজ ও জুলফিকার নামের তিনজন রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওয়াজ মাহফিলের মাঠে ঘুরছিল। এ সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক যুবকের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।
একপর্যায়ে জিহাদ এলোপাতাড়িভাবে ছুরিকাঘাত শুরু করে। এতে হুসাইন, ফিরোজ ও জুলফিকার গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হুসাইন ও জুলফিকারকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে হুসাইন মারা যায় এবং জুলফিকারের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়।
ছুরিকাঘাতে আহত ফিরোজ হোসেন জানান, ‘আমি আমার ভাই জুলফিকার ও হুসাইন ঝিনাইদহ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ বছর এসএসসি পাস করেছি। আমরা তিনজন মান্দারবাড়িয়া গ্রামের ওয়াজ মাহফিলের মাঠে গিয়ে ঘুরছিলাম। সে সময় গায়ে ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটে। এতে জিহাদ নামের এক ফল বিক্রেতা এলোপাতাড়িভাবে ছুরিকাঘাত করে আমাদের আহত করে।
ঝিনাইদহ সদর থানার এস আই এমদাদ জানান, ছুরিকাঘাতের ঘটনায় হুসাইন নামে এক যুবক মারা গেছেন। জুলফিকার ও ফিরোজ আপন দুই ভাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন