বিশ্ব -বাঙ্গালির গৌরবস্তম্ভ, প্রাচীন বাঙালার শিক্ষা -শিল্পরীতি ও অভিব্যক্তির উজ্জ্বলতম নিদর্শন সোমপুর (পাহাড়পুর) মহাবিহার খননের শতবর্ষ পূর্তী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল ১১ টায় নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নওগাঁ সাহিত্য পরিষদ ও প্রজন্মের আলো-প্রজন্মের মেলা যৌথভাবে এই আয়োজন করে। আলোচনা সভায় নওগাঁ সাহিত্য পরিষদের কার্যর্নির্বাহী সদস্য ও প্রজন্মের আলো সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান রিজভীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন তেঁতুলিয়াবিএমসি কলেজের অধ্যক্ষ স্থানীয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদের উপদেষ্টা  সিদ্দিকুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি আবুল কাশেম, জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক কায়েশ উদ্দিন, কথাসাহিত্যিক রবিউল করিম, সমাজসেবক এসএম সামছুল আলম, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি, দৈনিক প্রথম সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক আজাদ হোসেন মুরাদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চর্যাপদ গবেষক ও গল্পকার আশরাফুল নয়ন, সাবেক সভাপতি হাবিব রতন, প্রজন্মের আলোর নির্বাহী সম্পাদক তাহেরা এনায়েত করিম, কবি রোকেয়া শাকিলা, আসলাম হোসেন, মোহাম্মদ নাসির, প্রজন্মের আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হাফেজ আব্দুল্লাহ আলমাস বিন রহমান তানভীর, প্রজন্মের আলোর ডিজিটাল কন্টেন্ট ইডিটর আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বিন রহমান তন্ময় প্রমূখ।

সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার মো. সফিকুল ইসলাম এর “পাহাড়পুর মহাবিহার খননের ১০০ বছর, খননের পথিকৃৎ অক্ষয়কুমার ও শরৎকুমার” শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করা হয়। উল্লেখ্য বাংলার সুবিখ্যাত ইতিহাসবিদ অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় ও কুমার শরৎকুমার রায় ১৯২৩ সালের ১ মার্চ আনুষ্ঠানিক ভাবে সোমপুর বিহারের প্রত্নতাত্বিক খনন শুরু করেন এবং এই খননের মাধ্যমে প্রমানিত হয় এটি ছিল একটি বৌদ্ধ মন্দির ও তৎকালিন বৃহত্তর বিদ্যাপিঠ।

সভায় বক্তারা এই দিনটিকে উৎসবমূখর ভাবে পালনের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটানোর দাবী তুলে ধরেন। এছাড়া পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ঐতিহ্য ধরে রাখতে সেখানে একটি সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয় অথবা প্রত্নতত্ব গবেষণা ইন্সটিটিউট স্থাপন সহ জেলায় একটি পর্যটন মোটেল তৈরীর দাবী জানান।