৬ সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয় থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে

৬ সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয় থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়ককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামের বাবা বদরুল ইসলাম।

ছাড়া পাওয়া সমন্বয়কেরা হলেন- নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুম। জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার ভোরেই সমন্বয়কদের পরিবারের সদস্যদের কল দেওয়া হয় ডিবি অফিস থেকে। এরপরই স্বজনেরা ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে পুঁজি করে সহিংসতা চলার মধ্যে গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে চিকিৎসাধীন নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ এবং তাঁদের সঙ্গে আবু বাকেরকে তুলে আনে ডিবি পুলিশ। পরে শনিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় তুলে নেওয়া হয় সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে।

রোববার (২৮ জুলাই) ডিবি অফিস নেওয়া হয় নুসরাত তাবাসসুমকে। এরপর থেকে তাঁরা মিন্টো রোডের ডিবি অফিসেই ছিলেন। একই দিন ডিবি কার্যালয়ে সমন্বয়কদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেন তৎকালীন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ। এরপর সমন্বয়কদের পরিবারের সদস্যরাও ডিবি অফিসে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন।

ডিবি হেফাজতে থেকেই গত রোববারই (২৮ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক সকল আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তবে এই ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করে এরপর থেকেই নতুন করে বিভিন্ন আন্দোলন করে আসছেন অন্য সমন্বয়কেরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি না চালানো এবং ডিবি হেফাজতে থাকা ৬ সমন্বয়কের মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে গত ২৯ জুলাই হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মানজুর আল মতিন পীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। সেদিন শুনানিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে দিনের পর দিন ডিবি হেফাজতে কেন রাখা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন হাইকোর্ট।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password