কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গা যুবকের পেটে ব্যথা অনুভব করার পর চকরিয়ার মালুমঘাম মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় আলট্রাসনোগ্রাফিসহ বিভিন্ন পরীক্ষার পর সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে পেটের ভেতর থেকে একে একে বের করা হয় ইয়াবাভর্তি ৩৯টি প্যাকেট।
পরে সেসব প্যাকেট খুলে পাওয়া যায় ১৯৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। এই প্রথম কোনো ইয়াবা পাচারকারী বা কারবারির পেট থেকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে বের করা হলো ইয়াবা ট্যাবলেট। এনিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাই রীতিমতো অবাক হয়ে যান।
আজ শুক্রবার রাতে চকরিয়ার ডুলাহাজারাস্থ মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতালে ওই রোহিঙ্গা যুবকের পেটে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চকরিয়া থানায় খবর পৌঁছালে পুলিশ গিয়ে ওই ইয়াবা জব্দসহ সিজারিয়ান অপারেশনের পর হাসপাতালের বেডে চিকিৎসাধীন রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করেন।
চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়ে প্যাকেটগুলো খুলে ইয়াবাগুলো কর্তব্যরত চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে জব্দ করা হয়।
তিনি জানান, কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২ এবং এক নম্বর ব্লকের শরণার্থী মোহাম্মদ ইলিয়াছের ছেলে জাকির হোসেনকে (২২) ক্যাম্পে কর্মরত এমএসএফ নামক একটি এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিরা শুক্রবার সন্ধ্যার আগে চকরিয়ার মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতালে আনেন। এ সময় পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে প্রথমে আলট্রাসনোগ্রাফিসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। ফলাফলে পেটের ভেতর কোনো বস্তু থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হলে পেটে সিজারিয়ান অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয় চিকিৎসকরা। এর পর আসল রহস্য বেরিয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, এই প্রথম কোনো মানুষের পেট সিজারিয়ান অপারেশন করে ইয়াবার প্যাকেট বের করা হলো। যদিওবা আগে পায়ুপথ দিয়ে ইয়াবা বের করার ঘটনা রয়েছে অহরহ।
তিনি জানান, পুলিশ প্রহরায় ইয়াবা পাচারকারী রোহিঙ্গা নাগরিকের চিকিৎসা চলছে এবং তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে রোহিঙ্গা নাগরিকের বিষয়ে।’
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন