স্বাধীন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যশোর থেকে:- যশোর সরকারি এম এম কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী খুশি স্যারের গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে । একাধিক সুত্রে জানা যায় কলেজ চলাকালিন সময়ে অনুমানিক ১০ টা ৫০ মিনিট এর দিকে ক্যাম্পাসের দক্ষিণ গেডের দিকে বসার বেঞ্চে একাদশ শ্রেণির দুই জন ছাত্রী বসে ছিলো। হঠাৎ হিসাববিজ্ঞান ডিপার্টমেন্ট এর জাহিদ স্যার এর চালিত একটি মাইক্রো গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঐই বেঞ্চে আঘাত করে। এই সময় বাঘারবাসার খুশি নামের একটি মেয়ে গুরুতর আহত হয়। ঘটনাস্থলে থাকা ছাত্ররা গাড়ির চাবি জব্দ করে প্রিস্নিপল স্যার কে অবহিত করলে স্যার দ্রুত মেয়েটিকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এই সময় প্রিস্নিপল স্যারের গাড়ি বহরে করে শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দীন স্যার, একজন কর্মচারী, মেয়েটির কয়েজজন বান্ধবি সহ আহত খুশিকে ইবনে সিনা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এই বিষয়ে প্রিস্নিপল স্যার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,"মেয়ে দুইটা ওখানে বসে ছিলো।জাহিদ সাহেব এর গাড়ি পার্কিং করার সময় ঘটনাটি ঘটে। আমি যতদূর মেয়েদের কাছ থেকে জানলাম গাড়ি দ্বারা তারা আহত হয়নি। গাড়ি আসা দেখে ভয়ে সরে যেতে গিয়ে বেঞ্চ থেকে উল্টে পড়ে যাওয়ার কারণে পিঠে কিছুটা আঘাত পেয়েছে। আমি তাৎক্ষনিক আমার গাড়ি করে ইবনে সিনা হাসপাতালে পাঠায়। এক্স-রে রিপোর্ট হাতে পেয়েছি পিঠে সামান্য কালচে দাগ দেখা যাচ্ছে। কয়দিন বিশ্রাম নিলে পুরো সুস্থ হয়ে যাবে।বর্তমানে অনেক সুস্থ।"
ঘটনাস্থলে থাকা এক ছাত্র ইয়ামিন জানান "ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত যায় হোক না কেন স্যারের উচিৎ ছিলো আহত ছাত্রীকে দেখতে আসা তিনি তা করেন নি। তিনি তার সালার গাড়ি ভেঙ্গে গেছে সেটা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। পরে অবশ্য আহত ছাত্রটিকে না দেখেই তিনি ডিপার্টমেন্টে চলে যান।"
শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দীন স্যার জানান, " আমি নিজে হাসপাতালে নিয়ে খুশির ট্রিটমেন্ট করি। সর্বমোট পঁচিশ শত চল্লিশ টাকা চিকিৎসা খরচ হয়। কলেজ প্রসাশন খুশির চিকিৎসার খরচ বহন করেন।"
কলেজ চলাকালিন সময়ে স্যারের গাড়ি চালানোর বিষয়টি কতটা যুক্তিযুদ্ধ জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি সঠিক না। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে স্যারের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের ভিতর কলেজ টাইমে গাড়ি চালানো শেখার বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কঠোর সমালোচনা করা হচ্ছে। স্যারের এমন আচারণ কোনো ভাবে মেনে নিতে পারছে না ছাত্রছাত্রীরা। তবে সর্বশেষ তথ্য মতে স্যার ছাত্রীটিকে দেখতে হাসপাতালে যান বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য দীর্ঘ সময় ধরে সরকারি এম এম কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে দ্রুত গতিতে অহরহ মটরসাইকেল, মাইক্রো, রিকসা চলাচল করে আসছে। কলেজ চলাকালিন সময় এ মটরসাইকেলের আওয়াজ শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে। দ্রুত গতিতে মটরসাইকেল চলাচল সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কলেজ প্রসাশনের কঠোর ব্যবস্থায় পারে এই গড্ডালিকা প্রবাহ বন্ধ করে শিক্ষার পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন