চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নুরুচ্ছাবাহ্ পূর্নিমা নামে এক যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে মসজিদে প্রবেশ করে মুসল্লীকে জুতা দিয়ে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার ৫ নং ওচমানপুর ইউনিয়নের বাঁশখালী এলাকার মাজহার উল্লাহ মুহুরী বাড়ি জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটেছে। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
আমেরিকা প্রবাসী নুরুচ্ছাবাহ্ পূর্নিমা যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদেকর দায়িত্ব পালন করছেন।
ভুক্তভোগী মুসল্লী এস এম শহীদ জানান, শনিবার জোহরের নামাজের জন্য আমি মসজিদে প্রবেশ করার পথে পূর্ণিমা নামের এই মহিলা দাঁড়িয়ে থাকে। আমি তাকে নামাজের জামাত শুরু হচ্ছে বলে সরে দাঁড়াতে বলে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করার সময় সে মসজিদের সামনে থাকা জুতা নিয়ে আমাকে মারলে জুতা মসজিদের ভেতরে ঢুকে যায়। এরপর সে ভেতরে ঢুকে জুতা দিয়ে আমাকে মারধর করেন। তখন সকল মুসল্লী এগিয়ে তাকে নিভৃত করেন। কি কারণে আমাকে জুতা দিয়ে মারলো? আমার অপরাধ কি? আমি তার বিচার চাই।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও নিয়মিত মুসল্লী মো. খোরশেদ আলম বলেন, এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমার জীবনে দেখিনি। মহিলা মসজিদে ঢুকে শহীদ নামে এক মুসল্লীকে জুতা দিয়ে মারধর করে। এরপর আমরা এসে তাকে নিভৃত করি। মহিলা হওয়ার কারণে সকল মুসল্লীকে সংঘযত থাকতে হয়েছে। ওই মহিলার উপযুক্ত বিচার হওয়া প্রয়োজন।
এলাকাবাসী জানান, নুরুচ্ছাবাহ্ পূর্নিমার সাথে তার চাচা আবু ছালেকের জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। ওইদিন বিরোধপূর্ণ জায়গায় ঘর নির্মাণ নিয়ে চাচার সাথে ঝামেলা হয়। তার চাচা জোহরের নামাজ আদায় করতে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে। নামাজ শেষ করে বের হওয়ার সময় তাকে ধরবে এজন্য সে (পূর্নিমা) মসজিদের সামনে অপেক্ষা করতে থাকে। এসময় মুসল্লী শহীদের সাথে ঝামেলা হয়।
এই বিষয়ে শনিবার সন্ধ্যা ৭ টা ৫৪ মিনিটে মুঠোফোনে নুরুচ্ছাবাহ্ পূর্নিমা বলেন, আমি মসজিদে প্রবেশ করে জুতা দিয়ে কাউকে মারধর করিনি। বরং শহীদ নামে ওই ছেলেটি আমাকে ধাক্কা দেয়। মুসল্লীরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। তারা সবাই দলবল নিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে আমার বাবার বাড়ি দখল করে রাখছে। পরে কথা বলবে বলে ব্যস্ততা দেখিয়ে মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, শনিবার সকালে পূর্নিমা নামে এক মহিলা তার বাবার বাড়িতে বহিরাগত কিছু লোক জড়ো হয়েছে বলে আমাকে ফোন দেয়। আমি পুলিশের একটি টিম ওই বাড়িতে পাঠাই। পরে উভয় পক্ষের লোকজনকে থানায় ডেকে পাঠাই এবং বিরোধপূর্ণ জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে বলে জানতে পারি। তাই উভয় পক্ষকে কোন ঝামেলায় না জড়াতে পরামর্শ দিয়েছি। কোন মুসল্লীকে জুতা দিয়ে পেটানোর বিষয়টি আমার জানা নেই।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন