ভালোবাসা দিবসে স্কুলছাত্রীকে চার বন্ধু মিলে ধর্ষণ

ভালোবাসা দিবসে স্কুলছাত্রীকে চার বন্ধু মিলে ধর্ষণ

যশোরের ঝিকরগাছার পল্লিতে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বন্ধুরা মিলে অষ্টম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) আনুমানিক রাত ৮ টায় সময় উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের বাঁকুড়া জেকাঠি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলা না দিয়ে বিষয়টি অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপা দিয়েছে স্থানীয় মাতব্বররা।

সূত্র মতে, ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধায় উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের বাঁকুড়া-জেকাঠি গ্রামের খোরশেদ আলম বাবুর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে নিজ বাসা থেকে পাশের একটি দোকানে মোবাইলের এমবি কার্ড কিনে ফিরছিল। এ সময় বাঁকুড়া গ্রামের রুস্তমের ছেলে টিটু (২০) ও কলারোয়া শাকদা শিবান্দকাটি গ্রামের সাজু (২১) তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক মটরসাইকেলে তুলে বাঁকুড়া পদ্মবিলা পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি অফিসের পেছনে একটি বাগানে নিয়ে যায়। একই সময় কাছাকাছি অবস্থান করছিল একই এলাকার অপর বন্ধু কলারোয়া শাকদা শিবান্দকাটি গ্রামের ইয়াছিন (১৮), জেকাঠি গ্রামের শাহাজানের ছেলে সুজন (১৭)।

এসময় সব বন্ধুরা একত্রিত হয়ে তারা ঐ স্কুল ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে অজ্ঞান অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে। কিছুক্ষণ পরে জ্ঞান ফিরে এলে স্কুলছাত্রী তাঁর বাবাকে ওই পাশবিক ঘটনার বর্ণনা দেয়।

ধর্ষিতার পিতা জানান, আমার মেয়ে বাড়ীর পাশে একটি দোকানে এমবি কার্ড কিনতে গিয়েছিলো। এসময় বাঁকুড়া গ্রামের টিটু ও শাকদা সম্মন্ধকাঠি গ্রামের সাজু আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে সর্বনাশ করেছে। আমি আমার মেয়ের উপর ঘটে যাওয়া এমন ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।

এদিকে ঘটনার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও থানায় কেন মামলা করা হয়নি? এমন প্রশ্ন করতেই উঠে এলো আসল তথ্য। বিষয়টি মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপা দিয়েছে স্থানীয় মাতব্বররা এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর।

বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অফিসার ইনচার্জ শেখ শাহিনুর কবির জানান, বিষয়টি আমি জানিনা। আর কেও অভিযোগও করেনি। তবে এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password