পাপনের কথাতে মোটমুটি স্পষ্ট যে এই সিরিজেই অবসরের ঘোষণা দিচ্ছেন মাশরাফি এবং এর পরের সিরিজেই ঘোষণা করা হবে নতুন অধিনায়কের নাম। আর নতুন অধিনায়ককে দুই বছরের লম্বা মেয়াদে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দিতে চাচ্ছে বিসিবি। সেক্ষেত্রে এই বছরের শেষে সাকিব আল হাসান ফিরলেও অধিনায়কত্ব পাচ্ছেন না বিসিবির দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কারণে।
এখনো সরাসরি কিছু না বললেও বিসিবি যে নতুন অধিনায়কের খোঁজে আছে তা নিশ্চিত করেছেন পাপন। আগামী একমাসের মধ্যেই হয়তো নতুন ওয়ানডে অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই দল সাজানোর এই পরিকল্পনা বিসিবির। পাপন বলেন, ‘আমার ধারণা, এই সিরিজে মাশরাফি অবশ্যই থাকছে। ও যদি ফিট না হয় সেটা আলাদা কথা। তবে ওর জন্য অতটা কড়াকড়ি হতে চাচ্ছি না। তবে আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্তও নিতে হবে।’
আর নতুন অধিনায়কের নাম জানাতে ১ মাসের মতো সময় চেয়েছেন পাপন। বোর্ড সভাপতি বলেন, ‘সামনে আবার বিশ্বকাপ আছে, হঠাৎ করে অধিনায়ক নেয়া যাবে না। তাই দল ও অধিনায়ক- দুই বছর আগেই করে ফেলবো। আমাদের হাতে খুব বেশি সময় নেই। মাসখানেকের মধ্যে হয়তো আপনাদের জানাতে পারব।’
বোর্ড সভাপতি জানিয়েছেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর থেকে একাদশে সুযোগ পেতে মাশরাফিকেও ফিটনেস পরীক্ষায় উর্ত্তীন হতে হবে। অর্থাৎ আনফিট থাকলে অধিনায়কত্বের সঙ্গে একাদশের জায়গাটাও হারাবেন দেশের সবথেকে সফল এই অধিনায়ককে। তবে মাশরাফির অতীত অবদানের কারণে ফিটনেস টেস্টে অতটাও কড়াকড়ি হবেনা বলেও জানিয়েছেন পাপন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন