(কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা . এএসএম মারুফ হাসান তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আক্রান্ত ওই যুবক গত ১২ই মার্চ ইতালি থেকে দেশে ফেরেন। ১৪ই মার্চ আসেন নিজ বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায়। পরে গত ১৬ই মার্চ সােমবার ওই যুবককে করােনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসােলেশন ইউনিটে রাখা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আইইডিসিআর।
জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, করােনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলায় বিদেশ ফেরত ৮৩ জনকে হােম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা সম্প্রতি ভারত, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, ইতালি, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন।
হােম কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসীদের মধ্যে রয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ২ জন, জীবননগর উপজেলায় ৩৩ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩৫ জন এবং দামুড়হুদা উপজেলায় ১৩ জন।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা . এএসএম মারুফ হাসান জানান, করােনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই যুবককে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হবে। তার পরিবারকে হােম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের তাদের বাড়িতেই থাকতে কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চিকিৎসক দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর গত ৮ মার্চ প্রথম বাংলাদেশে তিনজনের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৭ জন ছিল। চুয়াডাঙ্গার এই রোগীকে নিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৮-তে। এদের মধ্যে গতকাল একজন মারা গেছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন