করোনার সংক্রমণ এড়াতে যা মানতে হবে

করোনার সংক্রমণ এড়াতে যা মানতে হবে
MostPlay

আবার বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে বিশ্ববাসীকে বেশ কিছু সাধারণ অথচ কার্যকর সতর্কতা অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

করোনা যেভাবে ছড়ায়

বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনার যে ভাইরাসটি বিস্তার লাভ করেছে, তার নাম কোভিড-১৯। এই ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে সুস্থ ব্যক্তির দেহে হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে। কোনো সুস্থ ব্যক্তি যখন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির দেওয়া হাঁচি বা কাশির সূক্ষ্মকণা শ্বাস-প্রশ্বাস বা হাতের স্পর্শের মাধ্যমে মুখে নেন, তখন তার দেহেও করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

পূর্বলক্ষ্মণ দেখা না দেওয়া ব্যক্তিদের থেকেও ছড়াতে পারে

করোনায় আক্রান্ত অনেকের মধ্যে রোগের উপসর্গ নাও দেখা যেতে পারে। এসব রোগীর মাধ্যমেও ভাইরাসটি বিস্তার লাভ করতে পারে। কোভিড-১৯ ভাইরাস সম্পর্কে এখনো অনেক কিছুই অজানা থাকায় এই রোগীদের থেকে ভাইরাসটি সংক্রমণের ঝুঁকি ঠিক কতটা বেশি তা জানা যায়নি।

সামাজিক বিস্তার

এ ছাড়া আক্রান্ত রোগীর লালা, থুতু বা সর্দির ফোঁটা থেকে কোনো বিদ্যালয়ের বেঞ্চ বা বাসের সিট সংক্রমিত হতে পারে। সেখান থেকে সহজেই তা অন্যদের দেহে ছড়াতে পারে।

সুরক্ষার উপায়

নিয়মিত হাত ধোয়া। নিজের দুই হাত মাঝেমধ্যেই পরিষ্কার, স্বচ্ছ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর হাতে সাবান লাগিয়ে হাতের তালু এবং পৃষ্ঠতল ঘষে ফেনা তুলুন। আঙুলগুলোর মধ্যেও একইভাবে পরিষ্কার করুন। এরপর আবার পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।

হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু দিয়ে মুখ ঢাকতে হবে

এরপর সেই টিস্যু ডাস্টবিনে ফেলে আবার নিজের হাত পরিষ্কার করুন। হাঁচি বা কাশি আটকাতে কখনোই নিজের হাত বা কনুই ব্যবহার করবেন না।

মুখে মাস্ক পরে সামান্য সুরক্ষা পাওয়া যেতে পারে

করোনাভাইরাসের তরল উৎস হাঁচি-কাশির ফোঁটা থেকে ফেস মাস্ক কিছুটা সুরক্ষা দিতে পারে। তবে এর মাধ্যমে ভাইরাসের অতি সূক্ষ্মকণা আটকানো সম্ভব নয়। এ ছাড়া, মাস্ক পরলেও চোখ খোলাই থাকে। এরই মধ্যে বেশ কিছু ব্যক্তির দেহে চোখের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে।

লক্ষ্মণ দেখামাত্রই চিকিৎসাসেবা নিন

আপনার যদি জ্বর, কাশি এবং শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনি সম্প্রতি কোথায় ভ্রমণ করেছেন, সেসব কথা তাকে খুলে বলুন। আক্রান্ত এলাকা থেকে ফিরে থাকলে ১৪ দিন নিজেকে জনসমাগম থেকে ‘বিচ্ছিন্ন’ রাখুন। এর মানে, এ সময় কর্মস্থল থেকে শুরু করে অন্যান্য জনসমাবেশস্থল এড়িয়ে চলতে হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password