তৃণমূল নেতারা মিঠুনকে অকৃতজ্ঞ বলছেন

তৃণমূল নেতারা মিঠুনকে অকৃতজ্ঞ বলছেন
MostPlay

নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড মঞ্চে উপস্থিত মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। উপস্থিত শ্রোতাদের খুশি করতে মিঠুন সিনেমার ডায়লগ বললেন 'মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে'- আর উল্লাসে ফেটে পড়ল জনতা। আরো ডায়লগ বাকি ছিল কারণ মিঠুন ব্রিগেডের সভায় নতুন স্লোগান দিয়েছেন, 'এক ছোবলেই ছবি!' এবং বলেছেন, তিনি 'জাত গোখরো'।

একসময় নকশাল আন্দোলনের সাথে জড়িত মিঠুন, বাংলার শেষের দিকে সিপিআইএমের ঘনিষ্ঠ হন। তারপরে ২০১১ সাল থেকে মমতা ব্যানার্জির সাথে দেখা যায় এবং ভারতের রাজ্যসভার সদস্য হন। কিন্তু ২০১৭ সালে তিনি পদত্যাগ করে চলে যান; বলেন, রাজনীতির সাথে কোনো যোগাযোগ থাকবে না।

রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মিঠুন বলেন, আরো একটা স্বপ্ন আমি দেখেছিলাম যে, আমি গরিবদের জন্য কিছু করব। আজ মনে হচ্ছে, কোথাও যেন সেই স্বপ্নটা দেখতে পাচ্ছি। এটা হবেই। কারণ স্বপ্ন শুধু দেখার জন্য নয়। তা সফল হওয়ার জন্যই আসে। কেউ যদি হৃদয় দিয়ে দেখতে স্বপ্ন সফল হবেই।

সূত্রের খবর, মিঠুন বাংলার বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে সক্রিয়ভাবে প্রচারণা করবেন। মিছিল এবং জনসভাও করবেন কিন্তু মিঠুনের হঠাৎ বিজেপির সাথে হাতমেলানো এবং তার ডায়ালগ অনেক মানুষের পছন্দ হয়নি।

নিজেকে জাত গোখরা বলে উনি যে ডায়লগ বলেছেন, এমন ভাষায় মিঠুনকে সাম্প্রতিককালে প্রকাশ্যে বলতে শোনা যায়নি। 'দুরন্ত ছন্দে দল বদলে ফেলার রাজনীতিতে আচ্ছা আচ্ছা পেশাদার রাজনীতিককেও তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী'- বলেছেন এক রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

যদিও মিঠুন তাঁর পুরনো দল বা নেত্রী মমতা সম্পর্কে একটি শব্দও বলেননি, কিন্তু যিনি রাজনীতিতে থাকবেনই না ভেবেছিলেন, তিনি যেভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন এবং আপ্লুতি দেখিয়েছেন তা তাঁর প্রাক্তন সহকর্মীদের নজর এড়িয়ে না গিয়ে পারে না।

তৃণমূল নেতারা অবশ্য ইতিহাস মনে করিয়ে দিতে চেয়ে মিঠুনকে 'অকৃতজ্ঞ' বলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার পর মিঠুন বলেছিলেন, ছোটবোন মমতার দেওয়া ওই সম্মান তিনি কোনোদিন ভুলবেন না এবং মমতার প্রতি তিনি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবেন। কিন্তু আদতে দেখা গেল মিঠুন বাকিদের মতো 'দলবদলু' হলেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password