একদিকে টম অ্যান্ড জেরি অন্যদিকে ভূত

একদিকে টম অ্যান্ড জেরি অন্যদিকে ভূত
MostPlay

বিশ্বের সর্বাধিক পরিচিত এবং জনপ্রিয় কার্টুন সিরিজ ‘টম অ্যান্ড জেরি’। শুধু শিশুদের কাছে নয়, সব বয়সের মানুষের কাছে ‘টম অ্যান্ড জেরি’র আবেদন রয়েছে। এই ইঁদুর আর বিড়াল বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র। ছোট পর্দা ছাড়িয়ে এবার তারা আসছে হলিউডের বড় পর্দায়। ‘টম অ্যান্ড জেরি’ নামেই নির্মিত হয়েছে ছবিটি। পরিচালনা করেছেন টিম স্টোরি। প্রযোজনা করেছেন ক্রিস্টোফার ডিফারিয়া। পরিবেশিত হবে ওয়ার্নার ব্রাদার্স পিকচারের ব্যানারে। 

শুক্রবার আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পাবে ছবিটি। একই দিনে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি । পাশাপাশি ‘দ্য রেকনিং’ ছবিটিও এ দিন মুক্তি দিচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স। অ্যাডভেঞ্চার হরর ঘরানার এ ছবি পরিচালনা করেছেন নেইল মার্শাল। 

টম অ্যান্ড জেরি

উইলিয়াম হানা ও জোসেফ বারবেরা এই চরিত্র দুটোকে সৃষ্টি করেছিলেন প্রায় ৮০ বছর আগে। সেটা ১৯৪০ সালে। এরপর তদের নিয়ে তৈরি হয়েছে ১৬৪টি অ্যানিমেটেড শর্ট স্টোরি, টিভি সিরিজ এবং বেশ কয়েকটি ছবি। কার্টুনের বই থেকে, ছোট পর্দা মাতিয়ে এবার ‘টম অ্যান্ড জেরি’ আসছে বড় পর্দায়। কমেডি ধাঁচের এই ছবিতে মূল ভূমিকায় দেখা দেবেন মার্কিন অভিনয়শিল্পী চোলে গ্রেস মোর্টজ এবং মাইকেল পেনা। এখানে তাদের নাম কাইলা আর টেরেন্স। ছবিতে দেখা যাবে বিড়াল টম আর ইঁদুর জেরিকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তারা আশ্রয় নিয়েছে একটা বিলাসবহুল হোটেলে। সেখানে বেশ আয়েশেই দিন কাটছে। মোর্টজ সেই হোটেলের কর্মচারী। তার ওপর আদেশ এসেছে, টম আর জেরিকে হোটেল থেকে বের করে দিতে হবে। যদি সে না পারে, তবে চাকরি হারাবে। কিন্তু ‘টম অ্যান্ড জেরি’কে বের করা এত সহজ? পদে পদে জব্দ হতে হয় তাকে। এভাবেই এগিয়ে চলে ছবির গল্প। ভ্যারাইটি জানিয়েছে, ভক্তরা টেলিভিশনে টম, জেরি ও অন্য চরিত্রগুলো যে চেহারায় দেখেছেন চলচ্চিত্রেও তারা তেমনই থাকবে। ছবিতে দেখা যাবে বাস্তব দুনিয়ার পরিবেশ, মানুষকে। তবে টম আর জেরি তার মধ্যেই থাকছে তাদের নিজেদের চেহারাতেই। 

টম অ্যান্ড জেরি ছবির কাহিনী লিখেছেন কেভিন কসতেলো। বলাই বাহুল্য এটি জোসেফ বারবারা ও উইলিয়াম হান্নার ক্ল্যাসিক কার্টুন টম অ্যান্ড জেরিকে ভিত্তি করে রচিত ও নির্মিত। সেই পুরনো শত্রুতা আবারো দেখা যাবে এ ছবিতে। বহু বছরের পুরনো এ শত্রুতা নিউইয়র্কের এক হোটেলে বিয়ের অনুষ্ঠানকে ঘিরে আবার জেগে ওঠে। টম আর জেরির ঝগড়ায় এবার বিয়ে, হোটেল ও গ্রেস মর্টেজের ক্যারিয়ার সবই হুমকির মুখে। কিন্তু ঘটনার মোড় ঘুরে যায় যখন হোটেলের এক কর্মী এ তিনজনের বিরুদ্ধেই এক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।

দ্য রেকনিং 

ভূতের গল্প নিয়ে সবারই একটা বাড়তি কৌতুহল থাকে। ভয়ঙ্কর হলেও এই ভয়ের মধ্যে আনন্দ পান প্রায় সবাই। লোডশেডিংয়ের সময় কিংবা বৃষ্টিভেজা নির্জন রাতে ভূতের গল্প দারুণ জমে। এ ধরণের গল্প শুনতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি ভূতের গল্পের ছবি দেখে মজা পান অনেকে। ভয়ংকর কোনো দৃশ্যে অনুভব করেন একধরনের রোমাঞ্চ। তাই ভূতের ছবির এত চাহিদা! বিশেষ করে হলিউডের ভূতের ছবির কদর বিশ্বব্যাপী। প্রায় প্রতি বছরই কোন না কোন হরর ছবি দর্শকদের পাশাপাশি বক্স অফিস কাঁপায়। আপনি যে ভৌতিক ছবিটি দেখছেন, তা যদি সত্য হয় তাহলে ভয়ের মাত্রাটা বেড়ে যাবে নিশ্চয়ই। যদিও বাস্তবে ভূতের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে, তারপরও হলিউডের কিছু কিছু ভৌতিক ছবিকে বলা হচ্ছে সত্য গল্প অবলম্বনে নির্মিত।

‘দ্য রেকনিং’ তেমনি একটি ছবি। ১৬৬৫-৬৬ সালে যখন কোন প্রযুক্তি ছিলো না তখনকার সময়ের একটি গল্পের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। ১৬৬৫ সালে লন্ডনে সবচেয়ে মারাত্মক বুবোনিক প্লেগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল। মাত্র সাত মাসে লন্ডনের প্রায় ১ লাখ অধিবাসীর মৃত্যু হয়েছিল। লন্ডনের পুরো জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল মহামারি প্লেগের দিনগুলোয়। এই প্লেগে আক্রান্ত হয়ে গ্রেস হ্যাভারস্টকের স্বামী মারা যায়। এরপর হ্যাভারস্টককে অন্যায়ভাবে ডাইনী বলে অভিযুক্ত করা হয়। শাস্তিস্বরূপ তাকে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে নির্মম জাদুকরী শিকারী মুরক্রফটের হেফাজতে রাখা হয়। শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনে পর্যুদুস্ত গ্রেস এক পর্যায়ে নিজের ভেতরের ভৌতিক সত্ত¡ার মুখোমুখি হওয়ায় শয়তান তার মধ্যে প্রবেশ করতে শুরু করে। এরপর ঘটতে থাকে একের পর এক হাঁড় হিম করা ঘটনা।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password