ভিক্ষা করা আর আত্নহত্যা করা ছাড়া পথ খোলা নেই

ভিক্ষা করা আর আত্নহত্যা করা ছাড়া পথ খোলা নেই
MostPlay

বাংলাদেশি জলসীমায় যখন মাছ শিকারে অবরোধ থাকে তখন নিবির্ঘ্নে সেখানে মাছ শিকার করে ভারতের জেলেরা। তাই একই বঙ্গোপসাগরে ভারত ও বাংলাদেশ এই দুই দেশের জন্য একই মেয়াদে অবরোধের সময় নির্ধারণ এবং করোনাকালে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে বরগুনার পাথরঘাটায় মানববন্ধন করেছে মৎস্যজীবীসহ স্থানীয় জনসাধারণ।    

শনিবার সকাল ১১টার দিকে পাথরঘাটা শেখ রাসেল স্কয়ার চত্বরে মানববন্ধনের আয়োজন করেন বরগুনা জেলা মৎস্যজজীবী ট্রলার মালিক সমিতি, বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, পাথরঘাটা আড়তদার সমিতি। পরে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম, বিএফডিসি আড়তদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার, বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আ. মন্নান হাওলাদার, সাধারণ মো. দুলাল মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশী জলসীমায় প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় অথচ একই বঙ্গোপসাগরে ভারতের জেলেরা তখন নিবির্ঘ্নে মাছ ধরে নেয়, তাছাড়া বাংলাদেশী জলসীমায় অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেও ভারতীয়রা মাছ ধরে নেয়। এ ছাড়া ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন মাছ ধরা থেকে বিরত থাকে বাংলাদেশের জেলেরা। এ সময়েও ভারতীয় জেলেরা মাছ ধরে নিয়ে যায়। এতে ভারতীয় জেলেরা সাবলম্বী হচ্ছে আর বাংলাদদেশী জেলেরা অসহায় হয়ে পড়ছে।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, আমরা জেলেদের অধিকার নিয়ে বহু আন্দোলন, সংগ্রাম করেছি। কিন্তু কোন কাজের কাজ হয় না। এবার আমাদের সময় এসেছে আত্নহত্যা করার। আত্নহত্যা করা ছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই, কারণ আমাদের জেলেদের ঘরে চাল নেই, হাতে টাকা নেই। ভিক্ষা করা আর আত্নহত্যা করা ছাড়া পথ খোলা নেই। আমরা দ্রুত সরকারের দৃস্টি আকর্ষণ করছি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password