মাদরাসা ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বিধবা মা ও ভাইকে পিটিয়ে আহত

মাদরাসা ছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বিধবা মা ও ভাইকে পিটিয়ে আহত
MostPlay

নোয়াখালী প্রতিনিদি ঃ-  লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে এক মাদরাসাছাত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বিধবা মা ও ভাইকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার (৭ এপ্রিল) রাত নয়টার দিকে আহত মায়া বেগম থানায় তিনজনের নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন।অভিযুক্তরা হলেন  উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম চরপাতা গ্রামের আবুল খায়ের, তার ছেলে মো. সিয়াম ও একই এলাকার সফি উল্যার ছেলে মো. সোহেল।অভিযোগকারী আহত মায়া একই গ্রামের মৃত আয়াত উল্যার স্ত্রী।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তিন মেয়ে ও চার ছেলেকে নিয়ে বিধবা মায়া বেগমের সংসার। তার ছোট মেয়ে চরপাতার গাজীনগর দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। একই গ্রামের সোহেল ও সিয়াম ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করে আসছেন। তাদের কারণে ছাত্রী বাড়ি থেকে স্বাভাবিকভাবে বের হতে পারছে না। তাকে পথিমধ্যে দেখলেই সোহেল ও সিয়াম যৌন হয়রানিমূলক কথা বলেন।

এনিয়ে মায়া তাদের অভিভাবকদের কাছে নালিশ করেন। তাতেও কোনো লাভ হয়নি। নালিশের কারণে ৫ এপ্রিল রাতে বাড়িতে ঢুকে সবার সামনে মায়ার ওপর অভিযুক্ত সিয়ামের বাবা আবুল খায়ের হামলা করেন। এ সময় খায়েরের হাতে থাকা কাঠ দিয়ে পিটিয়ে মায়াকে আহত করা হয়। মায়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন এগিয়ে এলে তাকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করা হয়।

পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে খায়ের ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। আহত অবস্থায় মায়া ও বিল্লালকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।মায়া বেগম বলেন, সিয়াম ও সোহেল এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। আমার মেয়েকে উত্যক্ত করায় অভিভাবকদের কাছে তাদের বিরুদ্ধে নালিশ করেছিলাম। উল্টো সিয়ামের বাবা খায়ের আমার ঘরের সামনে এসে পিটিয়ে ডান হাতের আঙুল ভেঙে দিয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রিয়াজ মুজাম্মেল জানান, আঘাতের কারণে মায়া বেগমের ডান হাতের আঙুল ভেঙে গেছে। তার হাতে প্লাস্টার করা হয়েছে।রায়পুর থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর বলেন, আহত মায়া বেগমের অভিযোগটি পেয়েছি। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password