বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারু সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মামুন হাওলাদারের (৪৮) অবস্থা সংকটাপন্ন । হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর পায়ের রগ কেটে দেয়, চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ১৯টি কোপ দেয়। আশংকাজনক অবস্থায় মামুন হাওলাদারকে গত বৃহস্পতিবার বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে আনা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ইছাপুরা হাইস্কুল সংলগ্ন খান বাড়ির সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। মামুন হাওলাদারের চাচাত ভাই মকবুল অভিযোগ করেন, স্থানীয় গোলাম সরোয়ার সবুজ গ্রুপের লোকজন মামুনের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
মকবুল জানান, হামলাকারীরা মামুনের হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। চাকু দিয়ে দুই চোখ খুঁচিয়ে নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। শরীর ও মাথায় একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
ফরিদপুর ইউনিয়নের কাকরধা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ উপ পরিদর্শক মোঃ ফরিদ জানান, প্রতিপক্ষের হামলায় মামুন গুরুতর জখম হলে তাকে প্রথমে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেয়া হয়। শেবাচিম হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মামুনের শরীরে ১৯টি কোপ এবং পায়ের রগ কাটা ও চোখ আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদাসীনতা এমন হামলার অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেন আহত মামুন হাওলাদারের স্ত্রী নুসরাত জাহান রাত্রি। তিনি বলেন,‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে যারা হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গোলাম সরোয়ার সবুজ ও তাঁর পেটোয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন পর্যন্ত হয়েছে বিগত দিনে। কিন্তু থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় নির্বিঘ্নে একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা। যার সর্বশেষ উদাহরণ আমার স্বামীর ওপর হামলার ঘটনা’।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন