সুপার লিগে খেললে পারবে না জাতীয় দল

সুপার লিগে খেললে পারবে না জাতীয় দল
MostPlay

রোববার রাতে ইউরোপের শীর্ষ ১২ ক্লাব নিয়ে ইউরোপিয়ান সুপার লিগের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। আর তাতেই নড়েচড়ে বসেছে গোটা ফুটবল বিশ্ব। নড়ে উঠেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফাও। আর তাই তো সোমবার (১৯ এপ্রিল) জরুরি বৈঠকও ডাকে তারা। বৈঠক শেষে কঠোর হুঁশিয়ারি জানিয়েছে ওই ১২টি ক্লাব এবং ক্লাবের ফুটবলারদের। উয়েফার সভাপতি আলেক্সান্ডার ক্যাফেরিন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান দিলেন, সুপার লিগে অংশগ্রহণ করলে কোনো খেলোয়াড় জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারবেন না।

রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরিন্তিনো পেরেজকে সভাপতি করে রোববার রাতে ঘোষণা এসেছে ইউরোপিয়ান সুপার লিগের নতুন কমিটির। ইউরোপের শীর্ষ ১২টি ক্লাব নিয়ে এ বছরের আগস্টেই মাঠে গড়াবে নতুন এই সুপার লিগ। ইতোমধ্যেই ইউরোপিয়ান শীর্ষ ক্লাবগুলো অফিসিয়ালি এই টুর্নামেন্ট নিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে। আর এমন ঘোষণা আসার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফা।

সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সুপার লিগের (ইএসএল) প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ১২টি ক্লাবের কথা জানানো হয়েছে ইএসএলের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে রয়েছে ছয়টি ক্লাবঃ লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, আর্সেনাল, চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও টটেনহাম। স্পেন থেকে আছেঃ রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও অ্যালেটিকো মাদ্রিদ। ইতালিয়ান সিরি ‘আ’ থেকেঃ জুভেন্টাস, ইন্টার মিলান ও এসি মিলান। তবে ইংল্যান্ড, স্পেন আর ইতালি থেকে শীর্ষ ক্লাবগুলো নিজেদের সম্পৃক্ততা জানান দেয়।

এই ১২ ক্লাবের সঙ্গে আরও তিনটি ক্লাব শিগগিরই যোগ দেবে বলে জানায় সুপার লিগ কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠাকালীন এই ১৫ ক্লাবের সঙ্গে প্রতি বছর কোয়ালিফাই করে আসা ৫ ক্লাব, মোট ২০ দল নিয়ে হবে এই টুর্নামেন্ট।আর তাই তো অস্তিত্বের হুমকির মুখে পড়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাকর টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নস লিগ। আর তাই তো চ্যাম্পিয়নস লিগকে বাঁচাতে সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থায় গ্রহণ করবে উয়েফা। জরুরি বৈঠক শেষে সেটাই হুশিয়ারির সঙ্গে উচ্চারণ করলেন সংস্থাটির সভাপতি।

আলেক্সান্ডার ক্যাফেরিন বলেন, কিছু ক্লাবের স্বার্থের জন্য করা এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে ফুটবল বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা একমত সুপার লিগ একটি অর্থহীন প্রকল্প। এফএ, লা লিগা, সিরি আ, ফিফা, এফইএফ, প্রিমিয়ার লিগ সবাই এই উদ্ভট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে। আমরা এই পরিবর্তনের অনুমতি দিচ্ছি না। এই লিগে অংশ নেওয়া খেলোয়াড়রা তাদের জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারবে না।

নতুন এই সুপার লিগের আবির্ভাবের পরপরই বিবৃতি দিয়ে হুশিয়ার করেছে উয়েফা। তারা এই ১২টি ক্লাবকে সতর্ক করে জানিয়েছে যে, কেউ যদি এই বিদ্রোহী টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে তবে তারা চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বহিষ্কার হবে। এছাড়াও প্রত্যেকটি শীর্ষ ঘরোয়া লিগ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠকও করেছে উয়েফা। এছাড়াও ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার স্মরাণাপন্নও হয়েছে তারা।

এই ব্যাপারে ক্যাফেরিন আরও বলেন, 'আমার জীবনে খুব গুরুতর বিষয় দেখেছি, কারণ আমি একজন আইনজীবী। কিন্তু এমন কিছু আগে কখনও দেখিনি। সুপার লিগের ভাবনা কোভিড মহামারির আগেই শুরু হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে ফ্লোরিন্তিনো পেরেজ ও আন্দ্রেয়া অ্যাগ্নেলির এমন ভাবনার বিষয়ে সন্দেহ করা হচ্ছিল। এটি খুবই স্বার্থপর ভাবনা, মহামারি বা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সবসময় আমাদের কাছে আরও সময় চেয়েছিল।'

 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password