পেট থেকে নবজাতকের অর্ধেক ছিড়ে আনলেন আয়া

পেট থেকে নবজাতকের অর্ধেক ছিড়ে আনলেন আয়া
MostPlay

যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার ও সেবিকা ছাড়াই এক গর্ভবতীর সন্তান ডেলিভারির চেষ্টা করেন এক আয়া। আর এতেই বিপত্তি ঘটেছে। নবজাতককে টেনে দু’খন্ড করেছেন ওই আয়া। গলা থেকে মাথা পর্যন্ত রয়েছে মায়ের পেটের ভিতর। বাকি অংশ বের করতে পারেন আয়া মোমেনা। এ ঘটনায় ওই প্রসূতির লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, নবজাতকটি মৃত ছিল। পঁচন ধরেছিল তার শরীরে। যে কারণে আয়া নবজাতকের পা ধরে টান দিতেই মাথা ছিড়ে মায়ের পেটের ভিতর থেকে গেছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে শার্শা উপজেলার বেনাপোল গাজীপুর গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আন্না বেগম (২৮) টয়লেটে পড়ে যান। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মধ্যরাতে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। গাইনি বিভাগের ডাক্তার আন্না বেগমকে দেখে জানান,‘রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে অপারেশন করতে হবে।

ওই নবজাতকের পিতা আবুল হোসেন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় স্ত্রীর পেট থেকে নবজাতকের পা বেরিয়ে আসে।  প্রথমে ওয়ার্ডের সেবিকারা রোগী দেখে নরমাল ডেলিভারি হবে বলে জানান। এর আগে দুপুরে ডাক্তার তানজিলা এসে চেকআপ করে বলেন নরমাল ডেলিভারি হবে। কিছু সময় পর ওই ওয়ার্ডের সেবিকা সিজার করা লাগবে বলে জানান। সিজারের ওষুধ কেনার জন্য একটি স্লিপ ধরিয়ে দিয়ে এক ব্যক্তিকে দেন স্বামী আবুল হোসেনের সাথে।

কিন্তু তিনি ওইব্যক্তির সাথে না গিয়ে অন্য ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে আনেন। এর কিছুক্ষণ পরে সেবিকারা এসে তাকে জানান, নবজাতকটি বেঁচে নেই। স্ত্রীর অবস্থাও ভালো না। বেডেই আয়া মোমেনা তার স্ত্রীর নরমাল ডেলিভারি করাতে গিয়ে নবজাতকের গলা থেকে ছিড়ে ফেলেন বলে অভিযোগ করেন আবুল হোসেন। তখন তিনি সেবিকাদের ডাকতে গিয়ে দেখেন সবাই পালিয়েছেন। স্ত্রী ব্যথায় ছটফট করলেও কোনো ডাক্তার কিংবা সেবিকা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ স্বামী আবুল হোসেনের। অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার আগেই বকশিসের আশায় আয়া মোমেনা তার স্ত্রীকে ডেলিভারির চেষ্টা করেন।

ওয়ার্ডে একাধিক রোগীর অভিযোগ,আয়াদের বকশিস বাণিজ্যের কাছে সকলে জিম্মি। যে কাজ ডাক্তার বা সেবিকাদের করার কথা সেই কাজ আগ বাড়িয়ে আয়ারা করে থাকেন।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ জানান, তত্ত্বাবধায়কের নির্দেশে ঘটনা জানার পর ওয়ার্ডে গিয়েছিলেন। ওই মায়ের গর্ভে আগে থেকেই সন্তান মৃত অবস্থায় ছিল। সন্তানটির বয়স হয়েছিল ২০ সপ্তাহ। ওজন ছিল মাত্র তিনশ’ গ্রাম। মৃত্যুর পর মায়ের পেটের মধ্যে পঁচন শুরু হয়। যে কারণে আয়া পা ধরে টান দিতেই নবজাতকের মাথা মায়ের পেটের ভিতর থেকে গেছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password