শিশুকে গণধর্ষণের পর বের করে নেওয়া হলো যকৃৎ

শিশুকে গণধর্ষণের পর বের করে নেওয়া হলো যকৃৎ
MostPlay

ভারতে, কানপুরের শিশু খুন নারকীয়তার সমস্ত নজির ছাপিয়ে গিয়েছে। ৬ বছরের শিশুর গণধর্ষণ, খুনের পর বের করে নেওয়া হয়েছে যকৃৎ। শিউড়ে ওঠার মতো এই খুনের সঙ্গে তুক-তাকের ভ্রান্ত বিশ্বাসও জড়িয়ে আছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

স্ত্রীর সন্তানধারণের জন্য দরকার একটি শিশুর যকৃৎ। এমনই নারকীয় কুসংস্কার থেকে অপহরণের ছক কষেছিল পরশুরাম কুরিল নামে এক ব্যক্তি। তার কথা মতো, দিওয়ালির রাতে ঘাতমপুর এলাকা থেকে ওই শিশুটিকে অপহরণ করে অনকূল কুরিল ও বীরেন নামে দুজন। জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তারা শিশুটিকে গণধর্ষণ করে।প্রথমে অনকূল ও বীরেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে সোমবার মূলচক্রী পরশুরামকে গ্রেফতার করা হয়। সব জেনেও চুপ করে ছিলেন এই অভিযোগে আটক করা হয়েছে পরশুরামের স্ত্রীকেও।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মেয়েটিরই গ্রামের এক নিঃসন্তান দম্পতি তাদের দুই প্রতিবেশীকে এক হাজার টাকা দিয়েছিল। ওই দম্পতির কোলে সন্তান এনে দেওয়ার নাম করে দুই প্রতিবেশী ধর্মীয় আচারের জন্য শিশুটিকে অপহরণ করে। অভিযোগ, শনিবার রাতে মেয়েটিকে অপহরণ করা হয়। দুই অভিযুক্ত প্রথমে মদ্যপান করে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এরপর তাকে খুন করা হয়। এরপর তারা বাচ্চাটার শরীর থেকে পাকস্থলী খুলে বের করে নেয় এবং প্রথার নাম করে সেই পাকস্থলী তুলে দেয় নিঃসন্তান দম্পতির হাতে। শরীরের আরও অংশ তারা বের করার চেষ্টা করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার সকালে শিশুটির দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত চারজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। শীর্ষ পুলিশকর্তা ব্রজেশ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, এই মামলার তদন্তে পুলিশের বেশ কয়েকটি দল তৈরি করা হয়েছিল। সন্দেহের বশে মেয়েটির প্রতিবেশী অংকুর ও বীরানকে আটক করা হয়। জেরার মুখে তারা দোষ স্বীকার করে নেয়। তারা জানিয়েছে, পরশুরাম নামে এক ব্যক্তি, যে অংকুরের মামা, সে এই কাজের জন্য তাদেরকে কিছু টাকা দিয়েছিল। দুজনেই মদ্যপ অবস্থায় মেয়েটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এরপর মেয়েটাকে মেরে তাকে কেটে তার পাকস্থলী খুলে বের করে নিয়ে পরশুরামকে দিয়ে দেয় সে।

১৯৯৯ সালে বিয়ে হয় পরশুরামের। কিন্তু সে ও তার স্ত্রী নিঃসন্তান ছিল। এই অপরাধের কথা শুনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মৃতার পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। দোষীর যাতে দ্রুত শাস্তি হয়, সেজন্য এই মামলার শুনানি ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password