সাংবাদিককে তুলে এনে বেধড়ক মারধর-অপমান

সাংবাদিককে তুলে এনে বেধড়ক মারধর-অপমান
MostPlay

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের 'রয়েল' রিসোর্টে নারীসহ হেফাজত ইসলামে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করার ঘটনার লাইভ করা এক সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছে হেফাজতকর্মীরা। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক হাবিবুর রহমান আহত হন। গতকাল সোমবার রাতে তাকে আহত অবস্থায় সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিক হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৭০/৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা যায়, সোনারগাঁ পৌরসভার দিঘিরপাড় এলাকায় রয়েল রিসোর্টে গত শনিবার বিকেলে হেফাজত নেতা মামুনুল হককে স্থানীয়রা এক নারীসহ অবরুদ্ধ হয়। ওই সময় স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করে ফেসবুকে লাইভ করেন। ঘটনার সময় চ্যানেল এস নামের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সোনারগাঁ প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান মামুনুল হকের দাড়ি ধরে টান দিয়েছে, এমন অভিযোগ তোলে হেফাজতকর্মীরা। এ ঘটনার পর থেকে হেফাজত নেতাকর্মীরা তাকে মারধরের হুমকি দেয়। পরবর্তীতে সাংবাদিক হাবিবুর রহমান নিজেকে আত্মগোপন করে রাখেন। গতকাল সোমবার রাতে সনমান্দি ইউনিয়নের ভাটির চর গ্রামে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় হেফাজতকর্মীরা হামলা চালায়। এসময় তারা তাঁর বাড়িঘর ভাঙচুর করে তাকে তুলে রাস্তায় নিয়ে যায়। 

পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে হাবিবুরকে ক্ষমা চাইতে বলে মামুনুলের কাছে। মামুনুলের শতাধিক অনুসারী সাংবাদিক হাবিবকে লাঞ্ছিত করে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে। লাইভে ক্ষমা চাওয়ার পর ফেসবুক লাইভ বন্ধ করে তাকে মারধর করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে হেফাজতকর্মীরা। পরে তার পরিবার এলাকাবাসীর সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি করে। 

আহত সাংবাদিক হাবিবুর রহমান বলেন, মামুনুল অনুসারীরা শনিবার থেকেই আমাকে নানাভাবে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। তাদের ভয়ে আমি শনিবার থেকেই ঘরবন্দি। গতকাল শতাধিক হেফাজতকর্মী বাড়িতে হামলা চালালে আমি সোনারগাঁ থানা পুলিশের সহযোগিতা চাই। পুলিশ পৌঁছানোর পূর্বেই তারা আমাকে মারধর করে। আমার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার তবিদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ নেওয়া হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password